বিয়ে পাগল চার সন্তানের বাবা নূরুল হক ওরফে দুলাল মিয়া (৪২) গফরগাঁও মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী শারমিন আক্তারকে (১৭) অপহরণ করেছেন। অপহরণকারী দুলাল এর আগে আরো ছয়টি বিয়ে করেছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। এ ব্যাপারে অপহৃত কলেজছাত্রী শারমিন আক্তারের বড়ভাই কাউছার আহমেদ বাদী হয়ে গফরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, গফরগাঁও উপজেলার পাইথল গ্রামের আব্দুল হামিদ কনুর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে শারমিন আক্তারকে দীর্ঘ দিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন একই এলাকার ৪ সন্তানের বাবা লম্পট দুলাল মিয়া। দুলালের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে শারমিনের বাবা গফরগাঁও পৌর শহরের শিলাসী গ্রামের এক আত্মীয়ের বাসায় রেখে যান। সেখান থেকেই শারমিন পড়াশুনা করে আসছিল।
গত ২৬ এপ্রিল কলেজ থেকে বাসায় ফিরার পথে দুলাল তার সঙ্গীয় কয়েকজনকে নিয়ে কলেজছাত্রী শারমিনকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর থেকে শারমিনের পরিবার তাকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে অপহরণকারী দুলালসহ তিনজনকে আসামি করে শারমিনের বড়ভাই কাউছার আহমেদ বাদী হয়ে গফরগাঁও থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
এলাবাসী সূত্রে জানা যায়, নারী কেলেঙ্কারিতে পটু দুলাল। সে অনুমানিক ২০ বছর আগে ভালুকা উপজেলার রাজই ইউনিয়নের কুলাবর গ্রামের খুকি আক্তারকে বিয়ে করেন। পরে গত ১০ বছর আগে দুলাল তার ফুফাত ভাইয়ের মেয়ে পাইথল গ্রামের নাসিমাকে বিয়ে করেন। পরে একে একে শ্রীপুর উপজেলার রহিমা খাতুন, গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নের মাবিয়া খাতুন, পাইথল গ্রামের পপি আক্তারকে বিয়ে করেন। সর্বশেষ কলেজছাত্রী শারমিন আক্তারকে অপহরণ করেন লম্পট দুলাল।
এ ব্যাপারে গফরগাঁও সদর থানার ওসি সৈয়দ আব্দুল্লাহ বাংলামেইলকে বলেন, ‘নারী শিশু অপহরণ আইনে থানায় মামলা রেকড হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’