১২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকার ৪০ লাখ টাকা দরে মূল পদ্মা সেতুর দরপত্র অনুমোদন করতে যাচ্ছে সরকার৷ এ কাজটি চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে দেয়া হচ্ছে৷
বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রানত্ম মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদনের জন্য সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারম্নল ইসলাম এ প্রসত্মাব দিয়েছেন৷
মন্ত্রিসভার প্রসত্মাবিত কার্যপত্রে বলা হয়েছে, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ১৩ হাজার ৮৮৫ কোটি ৮৫ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫০ টাকার বিপরীতে সর্বনিম্ন দর হিসেবে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৬৮২ দশমিক ১৫ টাকার দর প্রসত্মাব করে৷
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কারিগরি দরপত্র মূল্যায়ন করে এ প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার সিদ্ধানত্ম নেয়৷ যা এক হাজার ৭৫২ কোটি ৪৬ লাখ সাত হাজার ৮৬৭ টাকা কম৷ বা ১২ দশমিক ৬২শতাংশ কম৷
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্যাকেজ একের আওতায় পদ্মা মূল সেতু মির্মাণের জন্য ৪২টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানেমধ্যে ১০টি দরপত্র ক্রয় করে৷ এর মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি নির্দিষ্ট করে বিশ্বব্যাংকের সম্মতির জন্য পাঠায়৷ এ গুলো হলো- চায়না মেজর ব্রীজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লি, স্যামস্যাং সিএন্ডটি করপারেশন, ডেলিম-বিএএম-ভিসিআইজেভি, ভিনসি এইচসিসি জয়েন ভেঞ্চার এবং চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটিড৷
১ জুলাই ২০১১ বিশ্বব্যাংক চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে বাদ দিয়ে চারটি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেয়৷ কারিগরি দরপত্র আহ্বান করে৷ পরবর্তীতে ২৬ সেপ্টেম্বর ১৩ থেকে পরপর চারবার মেয়াদ বাড়িয়ে ৯ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখ নির্ধারণ করে৷ এ সময়ে তিনটি প্রতিষ্ঠান ফাস্ট স্ট্রেজ টেকনিক্যাল প্রপোজাল দাখিল করে৷
তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো- চায়না মেজর ব্রীজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লি, স্যামস্যাং সিএন্ডটি করপারেশন, ডেলিম-বিএএম-ভিসিআইজেভি৷
পরে ৩ এপ্রিল ২০১৪ এর মধ্যে সেকেন্ড স্টেজ ফাইনান্সিয়াল প্রপোজাল দাখিলের আহ্বান জানায়৷ এ সময়ও ২৪ এপ্রিল ২০১৪ পর্যনত্ম বাড়ানো হয়৷ ২৪ এপ্রিল ২০১৪ তারিখ শুধুমাত্র চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লি. ফাইনান্সিয়াল প্রপোজাল দাখিল করলেও অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান সময় বাড়ানোর আবেদন করে৷
ডিটেইলড ডিজাইন কনসালটেন্ট সময় না বাড়ানোর পক্ষে মতামত দেয়৷ পরে উপযুক্ত দরদাতা হিসেবে চায়না মেজর ব্রীজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে কন্টাক্ট অ্যাওয়ার্ড করার বিষয়ে সুপারিশ করে৷
সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানের দাখিলকৃত মূল্যের ২৫.৬০ শতাংশ বাংলাদেশী মুদ্রায় এবং ৭৪.৪০ শতাংশ বিল বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধের কথা বলা হয়েছে৷
প্রধান সেতু নির্মাণের জন্য বৈদেশিক সাহায্য হিসেবে আট হাজার ৩৬১.০৬ কোটি টাকার সংস্থান রয়েছে৷ এই ব্যয় জিওবি থেকে নির্বাহ করার জন্য অনুমোদন প্রয়োজন৷