চিকিৎসক, রোগী, আত্মীয়-স্বজন ও সাংবাদিকদের মধ্যে পারস্পরিক অনাস্থা ও শ্রদ্ধাবোধের অভাবে সামগ্রিকভাবে চিকিৎসা খাত অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। এতে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সেবায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। ফলশ্রুতিতে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন অসহায় রোগীরা। এ পরিস্থিতির উত্তরণে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ফিরিয়ে আনা ও সহনশীলতা প্রদর্শন করলে চিকিৎসা খাতে স্বস্তি ফিরবে।
বুধবার দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টিভির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘অস্থিতিশীলতায় চিকিৎসা সেবা: উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা সমন্বিতভাবে এ সব বক্তব্য তুলে ধরেন। বৈঠকে চিকিৎসা খাতের সর্বশেষ পরিস্থিতির বিশ্লেষণ ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়। যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলমের সঞ্চালনায় আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এম বদরুদ্দোজা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. দীন মোঃ নুরুল হক, সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, বিএফইউজে (একাংশ) সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএমএ ও স্বাচিপ মহাসচিব ডা. ইকবাল আর্সলান, যমুনা টিভি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, চিকিৎসা খাতে দীর্ঘদিন বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে। সেবা নিতে গিয়ে কেউ হয়রানি ও অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন মনে করলেও অভিযোগ দায়ের ও সুষ্ঠু নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। ডাক্তাররাও অন্যায় আচরণ এবং হামলার শিকার হলে তাদের সুরক্ষা পাওয়ার ব্যবস্থা নেই। এ কারণেই উভয়পক্ষ অসহিষ্ণু আচরণ করছেন।
সবপক্ষকে সহনশীলতা প্রদর্শন ও দায়িত্বশীল আচরণের তাগিদ দিয়ে বৈঠকে বলা হয়েছে, ডাক্তার-রোগী-সাংবাদিক কেউ কারও শত্রু নন। সবাই নিজ নিজ অবস্থান ও সীমারেখা মেনে দায়িত্ব পালন করবেন। ডাক্তার, রোগীপক্ষ ও সাংবাদিক কারোরই উস্কানীমুলক ও আগ্রাসী আচরণ দেখানো উচিত নয়।