ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় নির্বাচনী অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। ১২টি উপজেলায় ৩৫৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৮টিতে জালিয়াতি হয়েছে। ৪০টি কেন্দ্রের ভেতর সহিংসতা ঘটেছে। এ ছাড়া ২১৭টি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হয়।
১৯ মে ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আলোকে এমন দাবি করেছে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ। আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি এসব তথ্য তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ শান্তিপূর্ণ ছিল। দ্বিতীয় ধাপেও তা বজায় ছিল। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে এসে এর অধোগতি হয়। পঞ্চম ও ষষ্ঠ ধাপে অধোগতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। এবারের উপজেলা নির্বাচনে ধাপে ধাপে নেতিবাচক মাত্রা যোগ হয়েছে।
ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের চিত্র তুলে ধরেন ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক আবদুল আলীম। তিনি দাবি করেন, অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ভোট নেওয়ার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সহিংসতার কারণে অনেক কেন্দ্রেই ওই প্রস্তুতি সার্বিকভাবে নস্যাত্ হয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১২টি উপজেলায় ৩৫৮টি ভোটকেন্দ্রের সব কয়টি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে পর্যবেক্ষক ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের দাবি, ষষ্ঠ দফায় গড় ভোট প্রদানের হার ৫৮ শতাংশ। কিন্তু ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের মতে, জালভোটের কারণে এই পরিসংখ্যানে ভোট প্রদানের প্রকৃত হারের প্রতিফলন ঘটেনি।