রাজনাথ সিং পেতে চাইছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। অরুণ জেটলির চাই অর্থ মন্ত্রণালয়। ভারতের নতুন সরকারে বিজেপির প্রবীণ নেতারা কে কোন মন্ত্রণালয় পেতে ইচ্ছুক, এ নিয়ে আজ মঙ্গলবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ আভাস দেওয়া হয়।
লোকসভা নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ঝানু রাজনীতিবিদ বলে পরিচিত দলের জ্যেষ্ঠ নেতারাও এখন যে যাঁর মতো মন্ত্রণালয় পেতে ইচ্ছুক।
অরুণ জেটলি ভারতের পরবর্তী অর্থমন্ত্রী হতে পারেন। আর দলের প্রধান রাজনাথ সিং হতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি লোকসভার স্পিকার হচ্ছেন কি না, তা নিয়ে বিজেপি এখনো দোলাচলে। যদিও স্পিকার হতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন এল কে আদভানি। স্পিকার পদ ছাড়াও আদভানির জন্য আলাদা কোনো উপযুক্ত পদ তৈরি করা যায় কি না, এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে বিজেপিতে। আদভানিকে পরামর্শক বা উপদেষ্টা করার বিষয়টি নিয়েও ভাবছে বিজেপি।
মন্ত্রিসভার নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে রাজনাথ সিং ও অরুণ জেটলি যে থাকছেন, তা প্রায় নিশ্চিত। তবে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব শেষ পর্যন্ত কারা পাবেন, তা নিয়ে চলছে অঙ্ক কষা।
১৫তম লোকসভায় প্রধান বিরোধী দলের নেতা ছিলেন সুষমা স্বরাজ। এবারের লোকসভায় তিনি মন্ত্রিসভার নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে আগ্রহী। তবে নরেন্দ্র মোদি তাঁকে সেই সুযোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সুষমা স্বরাজ গুরুত্বপূর্ণ নেতা হলেও প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদির প্রার্থিতা নিয়ে তাঁর আগ্রহের কমতি ছিল। গতকাল সোমবার সুষমা স্বরাজ মোদির সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন। তবে তা রাজনৈতিক নয়, আনুষ্ঠানিক। ১৬ মে প্রকাশিত এক টুইট-বার্তায় সুষমা স্বরাজ বলেন, আরএসএসের আশীর্বাদ ও মোদির বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই বিজেপি জিতেছে।
জোটভুক্ত দলগুলোর মধ্যে এলজিপি নেতা রামবিলাস পাসোয়ান গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পেতে পারেন। এর আগে রেল মন্ত্রণালয় সামলালেও এবার তিনি তা পাবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে যোগাযোগ অবকাঠামো বা প্রাকৃতিক সম্পদবিষয়ক কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন রামবিলাস।
মন্ত্রিসভায় আরও যাঁদের নাম আসতে পারে তাঁরা হলেন—রবিশঙ্কর প্রসাদ, অনাথ কুমার, গোপিনাথ মান্দে, পীয়ূষ গোয়েল, রাজিব রাড়ি, রমেশ বায়েস, বিদ্যাসাগর রাও, হর্ষবর্ধন, বরুণ গান্ধী, কিরীটি সোমাইয়া, জুয়াল ওরাম, এলজিপি নেতা রামবিলাস পাসওয়ান, হারিশিমরাত কাউর, আনন্ত গীতি, উপন্দ্রে কুশাওয়াহা এবং অনুপ্রিয় প্যাটেল।