শফিক রেহমান: ৭ এপ্রিল ২০১৪-তে ইনডিয়ান লোকসভার ৫৪৩-টি আসনে ইলেকশন শুরু হয়ে নয় ধাপে সেটা শেষ হয় ১২মে-তে। এই ইলেকশনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৮১ কোটি ৪০ লাখ। ভোট গণনা শেষ হয় শুক্রবার ১৬ মে ২০১৪-তে।
বিভিন্ন জনমত জরিপ ও রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা এই ইলেকশনের ফলাফল সম্পর্কে গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ ভবিষ্যদ্বাণী করে আসছিলেন এতে ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির জোট বিজয়ী হবে। তবে তাদের সংশয় ছিল বিজেপি একাই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা (২৭২টি আসনে বিজয়ী) পাবে কিনা।
ফলাফল প্রকাশিত হবার পর এই লেখাটির সময় পর্যন্ত জানা গেছে বিজেপি একাই জয়ী হয়েছে ২৮৫টি আসনে এবং বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোট জয়ী হয়েছে ৩৩৬টি আসনে। অর্থাৎ, বিজেপি এককভাবে সরকার গঠন করতে পারবে। অবশ্য বিজেপি বলেছে তাদের জোটসঙ্গীকে তারা সরকারে রাখবে। অন্যদিকে গত ১০ বছর যাবৎ ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পার্টি এবার জয়ী হয়েছে মাত্র ৪৪টি আসনে এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট জয়ী হয়েছে ৫৯টি আসনে।
অন্যান্য আসনের রেজাল্ট হলো, এডিএমকে ৩৭-এ বিজয়ী, তৃণমূল কংগ্রেস ৩৪ এবং অন্যান্য ৭৭। সর্বশেষ গণনায় এই সংখ্যাগুলা কিছুটা বদলে যেতে পারে। তবে বিজেপির একক নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ঠিকই থাকবে। বরং কংগ্রেস নেত্রী বিরোধীদলীয় নেত্রী হতে পারবেন কি না সেই সন্দেহ উঠেছে। কারণ, এডিএমকে ও তৃণমূল কংগ্রেস জোট বাধলে তারাও প্রধান বিরোধী দল রূপে নিজেদের দাবি করতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে জয়ললিতা অথবা মমতা ব্যানার্জি লোকসভায় বিরোধীদলীয় নেত্রী রূপে আবির্ভূত হতে পারেন।
এসব কারণেই ২০১৪-র ইনডিয়ান ইলেকশনকে বলা হচ্ছে, কংগ্রেসের ভরাডুবি, কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়, কংগ্রেসে বংশানুক্রমিক রাজত্বের দিন শেষ, কংগ্রেসের করুণ পরিণতি ইত্যাদি ইত্যাদি। পলিটিকাল পণ্ডিতরা এখন বিশ্লেষণ করছেন, কেন কংগ্রেসের এই সুবিশাল পতন ঘটল? কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে দুইজন, সনিয়া গান্ধি এবং তার ছেলে রাহুল গান্ধি ইতিমধ্যে পরাজয়ের সব দায়দায়িত্ব স্বীকার করে নিয়েছেন। কংগ্রেস ও তার সমর্থক পরিমণ্ডলে নেমে এসেছে গভীর হতাশা, ব্যাপক আত্মসমালোচনা এবং কোন্দলের ফলে নেতৃত্ব থেকে সনিয়া রাহুল জুটির বিদায়সম্ভাবনা ও পার্টি খণ্ডিত হওয়ার আশংকা।
কিন্তু কংগ্রেস নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা যদি বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সঙ্গে নিজেদের অবস্থার তুলনা করেন তাহলে তারা অবশ্যই বুঝবেন যে, যতোটা খারাপ ভাবা হচ্ছে ততোটা খারাপ ইলেকশন রেজাল্ট তাদের হয় নি। ইনডিয়ান কংগ্রেস পার্টির (ICP) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (BAL) -এর সঙ্গে তাদের বর্তমান অবস্থার তুলনা করলে তারা বুঝবেন অন্ততপক্ষে ১০টি কারণে ইনডিয়ান ইলেকশন রেজাল্ট কংগ্রেসের জন্য খারাপ হয় নি।
১ ইলেকশনের পর কংগ্রেস দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ পার্টি রূপে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশে কোনো নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের অবস্থান হতে পারে চতুর্থ Ñ অর্থাৎ বিএনপি (প্রথম) জামায়াত (দ্বিতীয়) এবং জাতীয় পার্টি (তৃতীয়)-র পরে। তাই কংগ্রেস আশা করতে পারে লোকসভায় তাদের প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা দেওয়া হতে পারে যেটা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ আশা করতে পারবে না।
২ প্রধান বিরোধী দলের যোগ্যতা অর্জনের জন্য অন্যান্য দল বা নির্বাচিত এমপিদের সমর্থন কংগ্রেস পেতে পারে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এখনই একা। এই দেশে পরবর্তী নির্বাচনের আগে এবং পরে আর কোনো বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন দল বা প্রার্থীর সমর্থন আওয়ামী লীগ জোগাড় করতে পারবে না।
৩ রায় বেরিলি থেকে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধি প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগ নেত্রী বিজয়ী না-ও হতে পারেন। পরবর্তী নির্বাচনে শেখ হাসিনার পরাজয় নিশ্চিত করার জন্য ফরিদপুরের জনপ্রিয় বিএনপি নেতা চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ এখন থেকেই একটি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। ইতিপূর্বে সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনা অন্যান্য স্থানে পরাজিত হয়েছেন এবং এবার তার শেষ দুর্গ গোপালগঞ্জে পরাজিত হতে পারেন কারণ গোপালগঞ্জ নামটাই পুলিশি দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে গিয়েছে।
৪ সনিয়া গান্ধির ছেলে রাহুল বিজয়ী হয়েছেন আমেথি থেকে। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় রংপুর-৬ আসন থেকে বিজয়ী হতে পারবেন না। বাংলাদেশের ভোটাররা লক্ষ্য করেছে যদিও নামের মধ্যে ‘ওয়াজেদ’ শব্দটি আছে তবুও ৯ মে ২০০৯-তে পিতার মৃত্যুর সময়ে জয় এখানে আসেন নি। তবে তিনি তার নানার জন্ম এবং মৃত্যু উভয় দিবস পালনেই উৎসাহী। তাই রংপুরের ভোটাররা তাকে রংপুরের নয় গোপালগঞ্জের মানুষই মনে করে। ভোটাররা জানে জয়ের স্থায়ী নিবাস ওয়াশিংটনে পীরগঞ্জে নয়।
৫ কংগ্রেসের থিংক ট্যাংক ও বিদেশের সুশীলসমাজের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী রূপে পরিচিত শশী থারুর নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ইনডিয়াতেই থাকতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে সনিয়া গান্ধি তথা কংগ্রেসকে মূল্যবান উপদেশ দিয়ে যেতে পারবেন। বাংলাদেশে কোনো নির্বাচনে শেখ হাসিনার প্রধান থিংক ট্যাংকের কেউই প্রার্থী হবেন না। তারা আগে কোনো নির্বাচনী প্রার্থী হন নি। পরবর্তী নির্বাচনে তারা প্রার্থী হলে হেরে যেতে পারেন। আওয়ামী পরাজয়ের পর তারা কি করবেন? ড. গওহর রিজভী যিনি আওয়ামী পরাজয়ের পর সম্ভবত আমেরিকায় ফিরে যাবেন। পরাজয়ের পর শেখ হাসিনা নিজে যদি দেশেও থাকেন তাহলে তিনি এই উপদেষ্টার উপদেশ পাবেন না।
৬ কংগ্রেস এখন রাহুল গান্ধির পরিবর্তে তার বোন পৃয়াংকা ভদ্রকে রাজনীতির সামনের সারিতে নিয়ে আসতে পারে। সদ্য সমাপ্ত ইলেকশনে পৃয়াংকার উপস্থিতি বিলম্বিত হলেও প্রশংসিত হয়েছে। অনেক ভোটারই তাকে তার দাদী ইন্দিরা গান্ধির প্রতিবিম্ব মনে করেন। তিনি জনপ্রিয়। সম্ভবত জনচাপে তিনি বাধ্য হবেন কংগ্রেসের হাল ধরতে। বাংলাদেশে শেখ রেহানা যে হাল ধরবেন তেমন ভরসা আওয়ামী লীগের মধ্যে নেই।
লেখাপড়া, ভাষণ দান, সাংগঠনিক কাজ, ইত্যাদি কোনো কিছুতেই তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন নি। তাছাড়া তিনি অধিকাংশ সময়ই লন্ডনের অভিজাতপল্লী হ্যাম্পস্টেডে থাকতে পছন্দ করেন যদিও ঢাকার অভিজাতপল্লী গুলশানে দেড় বিঘা জমিতে সম্প্রতি তার নামে একটি বাড়ি কম দামে (১,০০০ টাকা) বরাদ্দ হয়েছে।
৭ যদিও সাম্প্রতিক কালে বিগ বিজনেসের সাপোর্ট পেয়েছে বিজেপি তবুও কংগ্রেসও যথেষ্ট সাপোর্ট পেয়েছে। ইলেকশনে হেরে যাবার পরেও কংগ্রেস এই সাপোর্ট পেয়ে যাবে। কংগ্রেস পার্টি ফান্ড ক্রাইসিসে পড়বে না। কিন্তু বাংলাদেশে ব্যাংক লুটপাট এবং আওয়ামী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা নব্য বিজনেস কাস এখানে ইলেকশনের পরে পালিয়ে যাবে। এদের অধিকাংশেরই ঠিকানা হবে কুয়ালা লামপুর। পার্টি ফান্ড ক্রাইসিসে আওয়ামী লীগ পড়বে।
৮ বহির্বিশ্ব, বিশেষত ইওরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) -এর কাছে সেকুলার ও গণতান্ত্রিক দল রূপে কংগ্রেসের পরিচয় অটুট থাকবে। কংগ্রেস এই ইলেকশনে পরাজিত হলেও ইওরোপের প্রগতিশীল লেখক-কলামিস্ট ও টকশোর পণ্ডিতরা কংগ্রেসের পক্ষে এই মুহূর্তেও মতামত প্রকাশ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে নির্বাচনে পরাজিত হবার পরে আওয়ামী লীগের মুখোশ খুলে যাবে এবং বিদেশি সমর্থন তারা হারাবে। রাশিয়া ছাড়া অন্য দেশের নৈতিক সমর্থন তারা ইতিমধ্যেই হারিয়েছে।
৯ ইনডিয়াতে কংগ্রেস তার মুসলিম ভোট ব্যাংক হারাবে না। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের হিন্দু ভোট ব্যাংকে ক্ষয় ধরেছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের আস্থা আওয়ামী লীগ ক্রমাগতভাবে হারিয়েছে, বিশেষত বিশ্বজিৎ হত্যা থেকে শুরু করে সর্বশেষ চন্দন সরকার হত্যাকাণ্ডে।
১০ ইনডিয়াতে মোহনদাস করমচাদ গান্ধি নামটির রাজনৈতিক ফায়দা কংগ্রেস আগামীতেও পাবে যদিও বিজেপির প্ল্যান হচ্ছে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, স্বামী বিবেকানন্দ এবং ছত্রপতি শিবাজীকে প্রতিষ্ঠিত করা। বাংলাদেশে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ও ছবি বহুল ব্যবহৃত হবার ফলে বিরক্ত ভোটাররা আওয়ামী পরাজয়ের পরে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ও ছবির প্রতি তাদের বিতৃষ্ণা প্রকাশ করতে পারে।
প্রধানত এই দশটি কারণে বলা যায়, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের তুলনায় ইনডিয়াতে নির্বাচনী বিপর্যয় সত্ত্বেও কংগ্রেসের অবস্থান এখনো বেশ ভালো।
যে একটি কারণে রেজাল্ট আওয়ামী লীগের জন্য খারাপ
ই
নডিয়ান ইলেকশনের পরে এই সত্যটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, মোদি সরকার জনগণের ম্যান্ডেট পেয়েছে এবং তার সরকার সত্যিকার অর্থেই একটি প্রতিনিধিত্বমূলক (Representative) সরকার। এর বিপরীতে মোদি সরকার এবং বিদেশের অন্য সব সরকারকেই এখন অতি কঠোরভাবে বিবেচনা করতে হবে যে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার জনগণের কোনো ম্যান্ডেট পায়নি এবং এই আওয়ামী লীগ সরকার সর্ব অর্থেই প্রতিনিধিত্ববিহীন (facebook.com/ShafikRehmanPresents) সরকার।
ইনডিয়ান ইলেকশনের পর একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে ক্ষমতাদখলকারী একটি সরকারের সম্পর্ক নৈতিক এবং
আদর্শিকভাবে এখন থেকে আরো অশ্লীল এবং নিন্দনীয় হবে। ভদ্রলোকের সঙ্গে ভদ্রলোকের সম্পর্ক হতে পারে। গণতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে গণতান্ত্রিক দেশের সম্পর্ক হতে পারে। কিন্তু দুটি সম্পূর্ণ বিপরীত চরিত্রের মানুষ অথবা দেশের মধ্যে সুবিধাবাদিতা ছাড়া অন্য কোনো কারণে স্থায়ী সম্পর্ক হতে পারে না।
সম্ভবত বিষয়টি ইতিমধ্যে বাংলাদেশে অবস্থিত ইনডিয়ান হাই কমিশনের পঙ্কজ শরণ, সন্দ্বীপ চক্রবর্তী এবং অভিজিৎ চক্রবর্তী প্রমুখ বিবেচনা করেছেন। আর তাই পঙ্কজ শরণ সম্প্রতি বলেছেন, দিল্লির সঙ্গে ঢাকার কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে কেমন হবে তা ইনডিয়ার লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে।
তিনি মনে করেন, নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হলে দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতেও কিছু পরিবর্তন আসবে। আর তার প্রভাব পড়বে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ওপর। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির অব্যাহত সম্পর্কের ধরনও পাল্টে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। ইনডিয়ার সাম্প্রতিক নির্বাচনে যদি মোদি সরকার আসে তাহলে এ সম্পর্ক কেমন থাকবে সে প্রশ্নের উত্তরে ইনডিয়ান হাই কমিশনার উপস্থিত সবাইকে আরো কয়েক দিন অপেক্ষা করতে বলেন। তিনি বলেন, মোদি সরকার কি ধরনের বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেন তা জানতে কয়েক দিন ধৈর্য ধরতে হবে।
এই প্রসঙ্গে অনেকেরই মনে পড়বে, ২০১৩-তে যখন ইনডিয়ান পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং ঢাকায় এসেছিলেন তখন শেখ হাসিনা ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে তিনি ওয়ান-টু-ওয়ান আলোচনা করেন। এই বৈঠকের পর এরশাদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন তাকে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য সুজাতা সিং চাপ দিয়েছিলেন। বস্তুত বর্তমান ইনডিয়ান হাই কমিশনকে অতি উৎসাহী হাসিনা সমর্থক রূপে অনেকেই গণ্য করেন এবং তারা কূটনৈতিক ভদ্রতা ও নিরপেক্ষতা দৃশ্যত বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন।
তাই এখন যদি মোদি সরকার ইনডিয়ান হাই কমিশনের বর্তমান সেট আপের পরিবর্তন করে তাহলে অবাক হবার কিছু থাকবে না।
তবে অনেকেই আশা করবেন ঢাকার ইনডিয়ান হাই কমিশন কংগ্রেস সরকারের ব্যাগেজ বাহক হলেও মোদি সরকার এদের হয়রানি করবে না।