জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, গুম-খুন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে দেশের জনগণ এ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সরকার ৫ জানুয়ারি ১৫৩ আসনে নির্বাচন না দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তার দলীয় লোকজনকে এমপি বানিয়ে জোর করে দেশ শাসন করছে। এ সরকার মিথ্যাবাদী সরকার, যে সরকার জনগণের সঙ্গে ওয়াদা করে ওয়াদা বরখেলাপ করে সে মিথ্যাবাদী সরকারের বিচার একদিন এই বাংলার জমিনে হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি গতকাল রোববার সকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলার কার্যক্রম ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা এলাকায় স্থানান্তরের প্রতিবাদে নোয়াখালীর সেনবাগ পৌর শহরে এক বিক্ষোভ শেষে স্থানীয় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এক কর্মীসভায় এ সব কথা বলেন।
এ সময় উক্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, সেনবাগ উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন পাটোয়ারী, সেনবাগ পৌর বিএনপির সভাপতি জাহিদুল হক সবুজ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক বাবুল, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবু ইউচুপ মজুমদার, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মমিন উল্লা চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপির অন্যতম নেতা ওবায়দুল হক চেয়ারম্যান, মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ উল্লা চেয়ারম্যান, কাদরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাস্টার মুক্তার হোসেন ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক জিএস শহিদ, উপজেলা বিএনপির অন্যতম নেতা নুরুন্নবী বাচ্চু, উপজেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন লিটন, পৌর যুবদলের সভাপতি মোকাররম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এমাম হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরনবী রাজু, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি এমরান হোসেন স্বপন ও কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নাছির উদ্দিন প্রমুখ।
জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, বর্তমানে দেশে চলছে এক ব্যক্তির শাসন। গত তিন বছরে দেশ পরিচালনায় সরকার অযোগ্য বলে প্রমাণ হয়েছে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রসহ সাত খুনের জন্য এ সরকারকে অতি তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করতে হবে। ফারুক আরও বলেন, দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে দেশের মানুষ ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। প্রতি দিন গুম খুন ও গুলির ঘটনা ঘটছে।
তিনি আরও বলেন, এখন আওয়ামী লীগের কথা শুনলে মনে হয় তারা ছাড়া এদেশে আর কেউ মুক্তিযুদ্ধ করেনি। অথচ আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরাও মুক্তিযুদ্ধ করেছি। বিএনপিই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার দল।
তিনি বলেন, এ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পদ্ধতি বাদ দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে পাঁয়তারা করছে, তা দেশপ্রেমিক জনগণকে নিয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তুলে প্রতিহত করা হবে। দেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ও কোকোর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রানি করছে। যে কেয়ারটেকার সরকারের জন্য আওয়ামী লীগ ১৭২ দিন হরতাল করেছে, সে কেয়ারটেকার সরকারকে আজ গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে, বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কয়েকটি মামলা করে তাকে হয়রানি করছে। খালেদা জিয়ার দেশ বাঁচানোর আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য নেতা-কর্মী ও দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।