গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ দেখে ধরা পড়েছেন দুই মুদ্রা পাচারকারী। গতকাল শুক্রবার রাতে প্রায় দুই লাখ সৌদি রিয়াল মালয়েশিয়ায় পাচার করছিলেন তাঁরা।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মা ও ছেলে পরিচয় দিয়ে ফারহানা আফরোজ ও সুলতানুল আরেফিন নামের দুজন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে এক লাখ ৮৯ হাজার সৌদি রিয়াল দেশের বাইরে নিয়ে যাচ্ছিলেন, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় ৩৯ লাখ ২৪ হাজার টাকা। বিমানবন্দরের গোপন ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে শনাক্ত করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান প্রথম আলোকে জানান, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে ফারহানা ও সুলতানুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনকে আসামি করে বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয়েছে। সকালে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার রাত নয়টার দিকে বিমানবন্দরের বোর্ডিং কাউন্টারে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি হাত ব্যাগ থেকে অর্থগুলো উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, গতকাল রাত ৮টা ৫৭ মিনিটে বিমানবন্দরের বহির্গমনের ছয় নম্বর স্টাফ গেট দিয়ে ঢোকেন ফারহানা ও তাঁর ছেলে সুলতানুল। ট্রলিতে চারটি মাঝারি আকারের ব্যাগ ও একটি হ্যান্ডব্যাগ নিয়ে তাঁরা বিমানবন্দরের ভেতরে ঢোকেন। এরপর ব্যাগগুলো স্ক্যান করান তাঁরা। এ সময় সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিরাপত্তা সুপার আহমেদ হোসেন এবং সহকারী মনির হোসেন ফারহানা ও মনিরের পাশে ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, নিয়ম থাকলেও দুজন যাত্রীর ব্যাগে ট্যাগ যুক্ত করেননি দুই নিরাপত্তা সুপার আহমেদ হোসেন ও মনির। এসব দৃশ্য গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরিত্যক্ত অবস্থায় সৌদি রিয়াল উদ্ধারের পরও ফারহানা ও তাঁর ছেলে বিমানবন্দর এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। রাত ১২টার সময় এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের পাসপোর্টে বাড়ি নম্বর ২৩৮ আবদুল্লাহবাগ, বাড্ডা, গুলশান উল্লেখ করা হয়েছে।