মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে এমভি মিরাজ-৪ নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে গেছে। লঞ্চটিতে ৩০০ জনের বেশি যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুজন পুরুষ, তিনজন নারী ও ছয়জন শিশু। তাত্ক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর কালিপুড়া এলাকায় মেঘনা নদীতে লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চটি ঢাকা থেকে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর যাওয়ার পথে ঝড়ের কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।
এ কান্নার শেষ নেই। মৃত স্বজনকে কাছে পেয়ে এক নারীর আহাজারি। ছবি: প্রথম আলোমুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বাদল ও গজারিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল করিম লঞ্চডুবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ও দুর্বার ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
প্রথম আলোকে ১১টি লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) জাকির হোসেন মজুমদার।
এদিকে উদ্ধার তত্পরতায় নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ পৌঁছেছে। প্রায় আড়াই শতাধিক যাত্রী এখনো নিখোঁজ আছে। এ পর্যন্ত ৫০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ঘটনাস্থলে আছেন। নিখোঁজ স্বজনদের সন্ধানে শত শত লোক তীরে ভিড় করে আছেন।