নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের আরেক এরশাদ শিকদার খ্যাত নূর হোসেনের ৬ স্ত্রী। যাকে চোখে ধরেছে তাকেই বিয়ে করেছে সে। এর বাইরেও নূরের ছিল অসংখ্য নারীর সাহচার্য।
নূরের ঘনিষ্ঠজনরা দাবি করেন, নূর হোসেনের ৬ স্ত্রীর মধ্যে প্রথম স্ত্রী লিলির বাড়ি ঢাকার মিলব্যারাক এলাকায়। সে এখন নূরের সংসারে নেই।
দ্বিতীয় স্ত্রী লিপির বাড়ি নারায়ণগঞ্জের খানপুরে। তার সংসারে বিপ্লব নামের এক ছেলে ছিল। কলেজ পড়ুয়া এ ছেলে বাপের বসানো মাদকের দোকান থেকে ফেনসিডিলসহ অত্যাধিক মদকদ্রব্য গ্রহন করতে করতে মানসিকভাবে বিপযস্ত হয়ে পড়ে। মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নিয়েও তাকে ফেরানো সম্ভব হয়নি। মদ খেতে খেতেই কিছুদিন আগে নির্মমভাবে তার মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুকে এলাকাবাসী ‘পিতার পাপে পুত্রের মৃত্যু’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তৃতীয় স্ত্রী পারুলের বাড়ি ঢাকার ডেমরা থানার সারলিয়া এলাকায়। সেও এখন নূরের সংসারে নেই।
চতুর্থ স্ত্রী সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরের খান বাড়ির প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মুসলিম খানের মেয়ে রুমা বেগম। তার সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। রুমার সঙ্গেই সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল টেকপাড়া নুর হোসেনের বাড়িতে বসবাস করতেন নূর হোসেন। ৭ অপহরণ ও খুনের মামলার পর স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে পলাতক আছেন নূর হোসেন।
পঞ্চম স্ত্রী রাধার বাড়ি ভারতের কলকাতার সদর স্ট্রিটে। ২০০১ থেকে প্রায় ৬ বছর ভারতে পালিয়ে থাকার সময় ‘গোপাল’ নাম ধারণ করে রাধাকে বিয়ে করের নূর হোসেন।
৬ষ্ঠ স্ত্রীর তালিকায় রয়েছে কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা বিয়ের খবর রটে যায় সিদ্ধিরগঞ্জের সর্বত্র।
ঐ সময়ে কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা ও নুর হোসেনে গভীর সম্পর্ক লক্ষ্যে করা গেছে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে। তবে ৭ অপহরণ ও খুনের মামলার পর নূর হোসেন পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা তাদের বিয়েকে অস্বীকার করে আসছেন।