কক্সবাজারের ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু

0
867
Print Friendly, PDF & Email

কক্সবাজারের আট উপজেলায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিন পর্বে এর কার্যক্রম চলবে।

হালনাগাদের প্রথম কার্যক্রম পর্ব দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও টেকনাফে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৪ মে পর্যন্ত।

২য় পর্বে উখিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়ার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। এ পর্ব আগামীকাল থেকে শুরু হয়ে ২৪ জুন পর্যন্ত চলবে।

৩য় পর্বে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলায় হালনাগাদ কার্যক্রম চলবে।

১৯৯৭ সালে ১ জানুয়ারির আগে যাদের জন্ম হয়েছে, তাদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তবে রোহিঙ্গারা যাতে কোনভাবেই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

জানা গেছে, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জনপদ কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলা প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা অবৈধভাবে বসবাস করছে। এসব রোহিঙ্গারা দীর্ঘকাল ধরে বসবাস করার সুযোগে পারিবারিকভাবে তারা স্থানীয়দের সাথে মিশে গেছে। এমনকি বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়ার সুযোগে বার বার ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে এদেশের নাগরিকত্ব লাভের চেষ্টা করছে। আজ বুধবার থেকে সারা দেশব্যাপী ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হওয়ার ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গারা তাদের নিকটতম আত্মীয়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে মিয়ানমার থেকে প্রতিনিয়ত অসংখ্য রোহিঙ্গা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করে কুতুপালং অবৈধ রোহিঙ্গা বস্তিতে আশ্রয় নিয়ে তদবীর চালাচ্ছে।

সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্যরা বেশ কিছু রোহিঙ্গাকে আটক করে ফেরত পাঠালেও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে অসংখ্য রোহিঙ্গা ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করছে।

আরো জানা গেছে, মিয়ানমার সীমান্তবর্তী আট উপজেলা ও ভারত সীমান্তবর্তী ছয় উপজেলাকে স্পর্শকাতর হিসাবে চি‎হ্নিত করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে বিশেষ ফরমের মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে আজ ১৫ মে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন নির্বাচন কমিশন। বিগত হালনাগাদ কার্যক্রম চলাকালীন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আগে ভাগেই বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে প্রণীত ভোটার তালিকায় সীমান্তবর্তী উপজেলা কক্সবাজার সদর, চকরিয়া, টেকনাফ, রামু, উখিয়া, মহেশখালী, বান্দরবানের সদর উপজেলা, আলীকদম, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি, রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি ও কাপ্তাই উপজেলার ৫০ হাজার রোহিঙ্গা ভোটারকে সনাক্ত করা হয়। পরে উপযুক্ত প্রমাণ ও যাচাই বাছাই করে ৪২ হাজার রোহিঙ্গার নিবন্ধন বাতিল করা হয়। একইভাবে ২০১২ সালে কয়েকটি এলাকায় রোহিঙ্গারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অভিযোগে ১৭ হাজার রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা হতে বাদ দেন নির্বাচন কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় চলমান ভোটার তালিকায় কোন রোহিঙ্গা নাগরিক যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সে ব্যাপারে প্রশাসনের তৃণমূল পর্যায়ে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

শেয়ার করুন