পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না

0
114
Print Friendly, PDF & Email

মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে মায়া বললেন, পদত্যাগের তো কারণ থাকতে হবে। কী কারণে পদত্যাগ করব? পদত্যাগের গুঞ্জন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি উল্টো বলেন, মিডিয়ায় যারা লিখছেন তাদের উদ্দেশে বলব, সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করুন। সত্যকে আড়াল করলে গুঞ্জন ও বিভ্রান্তি বাড়বে।

নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় মন্ত্রীর জামাতা, সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ বিতর্কে জড়ালে মন্ত্রী মায়ার পদত্যাগের গুঞ্জন ওঠে। সোমবার অসুস্থতার কারণে মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুপস্থিত থাকায় এ গুঞ্জন আরও ডালপালা ছড়ায়। মন্ত্রিসভা বৈঠকে যোগ না দিলেও বিকাল সাড়ে ৩টায় মন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে আসেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি ফাইলে স্বাক্ষরও করেন। তার পরও গুঞ্জন থামেনি। নারায়ণগঞ্জে সাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সৃষ্ট উত্তাল পরিস্থিতিতে সরকার অনেকটা বিব্রত। নিহত নাসিক কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদ চেয়ারম্যান অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে র‌্যাবকে জড়িয়ে বক্তব্য দিলে পরিস্থিতি বেশ স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হুঁশিয়ারির পর প্রশাসনের টনক নড়ে। স্মরণকালের এ রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের পর র‌্যাব কর্মকর্তা ও মন্ত্রীর জামাতা লে. কর্নেল তারেক সাঈদসহ তিনজনকে প্রত্যাহার ও তাদের চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

মন্ত্রী ও তার পরিবারকে ঘিরে বিতর্ক এড়াতে মায়া এক বিবৃতিতে পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করেন এবং ঘটনার সঙ্গে তার পরিবারের কেউ জড়িত নন বলে দাবি করেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঘনিষ্ঠ সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জের ঘটনার পর মায়া ও তার পরিবারকে ঘিরে সৃষ্ট বিতর্ক নিয়ে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা হয়। সূত্রমতে, দলের হাইকমান্ড মনে করে, ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে মায়ার ত্যাগ ও অবদান রয়েছে। দলের দুঃসময়েও মায়ার ভূমিকা প্রশংসনীয়। অতীত অবদানের কারণেই মায়ার বিষয়টি সহানুভূতিশীল দৃষ্টিতে দেখা হবে মনে করছেন দলের একাধিক শীর্ষ নেতা।

শেয়ার করুন