কাল বুদ্ধ পূর্ণিমা

0
108
Print Friendly, PDF & Email

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব গৌতম বুদ্ধের জন্মোৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা আগামীকাল মঙ্গলবার দেশজুড়ে পালিত হবে।

গৌতম বুদ্ধের শুভজন্ম, বোধিঞ্জান লাভ ও মহাপরিনির্বান এই ত্রিস্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শ্রেষ্টতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। বিশ্বের সকল বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে এটি বুদ্ধপূর্ণিমা নামে পরিচিত।

বৌদ্ধ ধর্ম মতে, আজ থেকে ২ হাজার ৫৫৭ বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁর জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর (বৈশাখী পূর্ণিমা) অপর নাম দেওয়া হয় ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’।

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাদের এ প্রধান ধর্মীয় উৎসব পালনের লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আগামীকাল সরকারি ছুটির দিন।

বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

বৌদ্ধবিহার সূত্র জানায়, সকালে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হবে। পরে বুুদ্ধ পূজা, মহাসংঘদান, মহা অষ্টপরিস্কারদানসহ বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যাদি পালিত হবে। এর মধ্যে জগতের সব প্রাণীর সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ প্রার্থনা।

বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, গৌতম বুদ্ধ বিশ্বের মানুষের দুঃখ-বেদনাকে নিজের দুঃখ বলে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেন।

মানব জীবনের দুঃখ তাঁর দৃষ্টিগোচর হলে তিনি সম্পদ, ঐশ্বর্য তথা সংসার জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন এবং জন্ম, জরা, ব্যাধি ও মৃত্যু- এ চারটির কারণ উদঘাটন এবং মানুষের শান্তি ও মুক্তির লক্ষ্যে নিমগ্ন হন।

এক সময় রাজপ্রাসাদের বিত্ত-বৈভব ও সুখ এবং স্বজনের মায়া ত্যাগ করে সিদ্ধি লাভের পন্থা অন্বেষণে তিনি বেরিয়ে পড়েন অজানার পথে। দীর্ঘ ছয় বছর সাধনার পর গৌতম বুদ্ধ বোধিপ্রাপ্ত হন।

বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আগামীকাল সকাল ৮টায় কমলাপুর ধর্মরাজী বৌদ্ধ বিহার থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হবে।

বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ সকাল ৮টায় জাতীয় জাদুঘর এর সামনে থেকে সন্মিলিত শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি শোভাযাত্রা বের করবে।

সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ ম স আরেফিন সিদ্দিক শান্তি শোভাযাত্রার উদ্বোধন করবেন।

শেয়ার করুন