গণতন্ত্রের উন্নয়নে ই-পার্লামেন্টে অধিক বিনিয়োগ প্রয়োজন। গণতন্ত্রের উন্নয়নের জন্য জনপ্রতিনিধি ও জনগণের মধ্যে ডিজিটাল বিভাজন দূর করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করতে হবে। ই-পার্লামেন্ট বিষয়ে সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) এর বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
‘ওয়ার্ল্ড ই-পার্লামেন্ট কনফারেন্স’ বা ডব্লিউইপিসি নামের তিন দিনের একটি সম্মেলন যৌথভাবে আয়োজন করেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ও ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ)। বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টের মধ্যে সহযোগিতা এবং ডিজিটাল বিভাজন দূর করার আশ্বাস দিয়ে সিউলে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলন গত ১০ মে শেষ হয়েছে। প্রায় ৯০ টি দেশের সংসদ সদস্যরা এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন।
সম্মেলনে নতুন প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগের নেটওয়ার্কে জনগণকে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। জাতীয় পার্লামেন্টে তথ্য-প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে তা জনগণের কাছে আরও উন্মুক্ত, স্বচ্ছ এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, যে দেশের পার্লামেন্টে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বেশি হয় এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা বেশি থাকে গণতন্ত্র তত উন্নত হয়। জনপ্রতিনিধি ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে দূরত্ব কমিয়ে আনার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেন সম্মেলনে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা। তাঁদের মতে, পার্লামেন্টে আইন প্রণয়ন বা অন্যান্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনগণের মতামতের প্রতিফলন দেখতে হবে। সহজে জনগণের কাছে পৌঁছাতে পার্লামেন্টের তথ্য উন্মুক্ত করার পাশাপাশি অনলাইনে সবার কাছে সে তথ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থাও করতে হবে। ই-পার্লামেন্টের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন বাড়াতে হবে এবং স্বচ্ছ রাজনীতি করতে।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা. মুক্ত তথ্য ও প্রাইভেসির মধ্যে সংজ্ঞা নির্ধারণের ওপরও জোর দেন।