ক্রেডিট কার্ড ও চেক জালিয়াতি, স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) টাকা তুলতে না পারা, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন, স্বীকৃত বিল পরিশোধ না হওয়াসহ ব্যাংকের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমঝোতায় এসব অভিযোগের অধিকাংশই স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গ্রাহক হয়রানি বন্ধ ও অর্থ সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গঠিত ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস বিভাগে (এফআইসিএসডি) চলতি বছরের এপ্রিল শেষে মোট ৯ হাজার ৬শ ৮৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
এর মধ্যে লিখিত অভিযোগ ৬ হাজার ৪শ ২৩টি। আর টেলিফোন বা মোবাইল ফোনে অভিযোগ এসেছে তিন হাজার ২শ ৬১টি। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে নয় হাজার ৪শ ৪২টি। অর্থাৎ অভিযোগ নিষ্পত্তির হার ৯৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। বাকি ২শ ৪২টি অভিযোগ নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক স্বপন কুমার রায় বাংলামেইলকে বলেন, ‘গ্রাহকের আর্থিক সেবা সংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’
তিনি জানান, কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অভিযোগ সেলে পাঠানো হয়। এরপর অভিযোগটি সত্য হলে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সময় বেঁধে দেয়া হয়। তবে কোনো ব্যাংক বড় ধরনের অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়।
এছাড়া টেলিফোনে যে অভিযোগ আসে তা ছোট হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এতে গ্রাহকের অভিযোগের পাশাপাশি নিষ্পত্তির হার বাড়ছে। সময়ের সঙ্গে এ সেবার প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বাড়ছে বলেও কাস্টমার সার্ভিসেস বিভাগের কর্মকর্তারা দাবি করেন।
উল্লেখ্য, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১১ সালের ১ এপ্রিল গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ কেন্দ্র গঠন করে। পরিধি বাড়তে থাকায় পরে একে ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিস (এফআইসিএসডি) নামে পূর্ণাঙ্গ বিভাগে রূপ দেয়া হয়। ফ্যাক্স (০০৮৮-০২-৯৫৩০২৭৩), ই-মেইল (bb.cipc@bb.org.bd), খুদে বার্তা এবং ১৬২৩৬ নাম্বারে কল করে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো অনিয়ম ও হয়রানির বিরুদ্ধে গ্রাহকরা অভিযোগ করতে পারেন।