ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক। কিন্তু সবার জন্য উন্মুক্ত হওয়ার কারণে এ ওয়েবসাইটে অপরাধী ও দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ম্যও কম নয়।
সম্প্রতি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেছে, তাদের ১২৮ কোটি ব্যবহারকারীর মধ্যে ১০ কোটি অ্যাকাউন্টই ভুয়া। এসব ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পরিচয় গোপন করে অনেকে অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। অনেক ব্যবহারকারী প্রতারিত হচ্ছে। তাই ভুয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করার কৌশলটি জেনে নিন ঝটপট।
১. অ্যাকাউন্টের প্রেফাইল ছবিগুলো দেখুন। পুরো প্রোফাইলে যদি একটি মাত্র ছবি থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে ধরে নেবেন সেটা ভুয়া। ২. স্ট্যাটাস আপডেট, ওয়াল পোস্ট এবং কমেন্টগুলো ভালো করে দেখুন। যদি দেখেন দীর্ঘ সময় ওই অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস আপডেট করা হচ্ছে না, কোনো ওয়াল পোস্ট দেয়া হচ্ছে না বা কারো স্ট্যাটাসে মন্তব্যও করছে না তাহলে বুঝবেন এ অ্যাকাউন্ট ভুয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ৩. সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড দেখুন। নির্বিচারে বন্ধু যোগ করছে এবং বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠাচ্ছে, কোনো পেজে বা গ্রুপে লাইক নেই-তাহলে বুঝবেন এ লোক শুধু বন্ধু বাড়ানোর ধান্দায় আছে। এটা তার ভুয়া অ্যাকাউন্ট। ৪. বন্ধু তালিকা ঘেঁটে দেখুন। দেখবেন বেশিরভাগ বন্ধু তার বিপরীত লিঙ্গের। তাহলে ধরে নিতে পারেন, অ্যাকাউন্টটি হয় মজা করার জন্য নয়ত নিত্যনতুন প্রেম করার জন্য খোলা হয়েছে। ৫. অ্যাকাউন্টের তথ্য (info) যাচাই করুন। যদি দেখেন তার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা কর্মস্থলের কোনো ঠিকানা বা ওয়েবসাইট লিঙ্ক দেয়া নেই এবং ব্যবহারকারী প্রেমিক/প্রেমিকা খুঁজে বেড়াচ্ছেন এবং তিনি পুরুষ ও স্ত্রী উভয় লিঙ্গের প্রতিই আগ্রহী- তাহলে বলতেই পারেন অ্যাকাউন্টটি ভুয়া হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। ৬. জন্মতারিখ দেখুন। 1/1/XX….. অথবা…… 31/12/XX এই জন্মতারিখগুলো সাধারণত ভুয়া অ্যাকাউন্টে থাকে। কারণ এগুলো একেবারে ইউনিক এবং টাইপ করাও সহজ। ৭. নারী ব্যবহারকারীর ইনফোতে যদি সরাসরি যোগাযোগের সুস্পষ্ট মাধ্যম উল্লেখ থাকে যেমন মোবাইল নম্বর এবং তা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে, তাহলে বুঝবেন এটা ভুয়া অ্যাকাউন্ট না হয়ে পারে না। ৮. সাম্প্রতিক ওয়ালে যদি বিপুল সংখ্যক মানুষের ‘THANKS FOR THE ADD…. DO I KNOW YOU’ এই টাইপের কথা লেখা থাকে এবং অনেক দিন হলো সেগুলোর কোনো জবাব দেয়া হয়নি এমন হয়, তাহলে ধরেই নিতে হবে অ্যাকাউন্টটি ভুয়া। ৯. ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সাধারণ প্রবণতা থাকে কিছু অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে সময় কাটানো যেমন: farm ville, pet society ইত্যাদি। কোনো ব্যবহারকারীর যদি এসবের ব্যাপারে কোনো আগ্রহ না দেখা যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে অ্যাকাউন্টটি চরম ইনঅ্যাকটিভ অথবা ভুয়া। ১০. যদি আপনি নিশ্চিত হন যে অ্যাকাউন্টটি ভুয়া তাহলে এর প্রোফাইল ছবিটি নিয়ে গুগলে পিকচার সার্চ দিতে পারেন। ভুয়া হলে ছবিটি গুগলে সহজেই পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ভুয়া ব্যবহারকারীরা সাধারণত গুগল থেকে ছবি নিয়ে প্রোফাইল ছবি হিসেবে ব্যবহার করেl