ফেনীর দাগনভূঞায় বাসা থেকে জোরপূর্বক এক যুবককে তুলে নিয়ে আটকে রাখার এক ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওই ঘর থেকে পুলিশ বোমা ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করলেও অপহরণকারীদের আটক করতে পারেনি।
পৌর শহরে আজ দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা পৌনে ২টার দিকে পেট্টোল পাম্প সংলগ্ন খাজা মাঈন উদ্দিন স্বপনের বাসায় একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। তারা স্বপনের সদ্য বিবাহিতা মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাসার লোকজন বাধা দেয়। এ সময় দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে স্বপনের জামাতা তাজুল ইসলাম বাপ্পিকে গুরুতর আহত করে তার খালাতো শ্যালক জাহাঙ্গীর (২২) কে তুলে নিয়ে যায়। তারা বাপ্পীর স্ত্রীকে না দিলে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়।
ঘটনাটি জেনে দাগনভূঞা থানার ওসি নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অভিযান চালায়। তারা পৌর শহরের ইয়ারপুর নবী সওদাগরের নতুন বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নুর ইসলাম লাতুর ঘর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে।
ওসি নিজাম উদ্দিন জানান, পুলিশ ওই ঘর তল্লাশি করে অন্তত ১৫টি ককটেল, দুইটি কিরিচ ও বেশ কিছু মদের খালি বোতল উদ্ধার করেছে। নুর ইসলাম লাতু একজন পেশাদার সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
তিনি জানান, শিমুল নামের এক যুবক বাপ্পীর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য লাতু, জাহাঙ্গীর, হাসান ও আনোয়ারসহ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে ভাড়া নিয়ে ওই বাসায় হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে হামলা, অপহরণ ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান