যে কোনো দলের পক্ষ থেকে সমর্থন নিতে (সরকার গঠনের ক্ষেত্রে) প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ভারতের ১৬তম জাতীয় সংসদ (লোকসভা) নির্বাচনের একেবারে শেষ দিকে এসে ফলাফল ঘোষণার মাত্র এক সপ্তাহ আগে এ কথা জানালো দেশটির প্রধান বিরোধী দল।
শুক্রবার বারানসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ও দলটির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা অমিত শাহ এ কথা জানান। অমিতের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, বিজেপি ‘রাজনৈতিক অস্পৃশ্যতায়’ বিশ্বাসী নয়।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা যখন বলছেন, সরকার গঠনে ৩০০ আসনেরও বেশি জিতে বিজেপি ও তার জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) সরকার গঠন করবে, তখনই এ ধরনের কথা শোনালেন অমিত শাহ।
বিজেপি সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা (যে দল সমর্থন দেবে) যদি দেশের উন্নয়নে জোট বাধতে চায়’ তাহলে বিজেপি যে কোনো দলের পক্ষ থেকে সমর্থন নিতে এখনও প্রস্তুত।
বিজেপিকে সমর্থন দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে বহুজন সমাজ পার্টির নেতা মায়াবতীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অমিত শাহ বলেন, ‘বিজেপি রাজনৈতিক অস্পৃশ্যতায় বিশ্বাসী নয়’।
এনডিএ জোটে আরও কয়েকটি দল যোগ দেবে বলে নিজের আশাবাদের কথা ইঙ্গিতে প্রকাশ করে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকার দেন নরেন্দ্র মোদী। তার এই ইঙ্গিতের পর ভারতের প্রভাবশালী দল বহুজন সমাজ পার্টির নেতা মায়াবতী বিজেপিকে সমর্থনের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন।
অমিত শাহ বলেন, ‘কোনো দল যদি দেশের উন্নয়নে জোট বাধতে চায় তবে সকল দলকে বিজেপিতে স্বাগত জানাবো’।
সংবাদ সম্মেলনে বারানসিতে নরেন্দ্র মোদীর সভার অনুমতি বিতর্কেও নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেন অমিত।
এর আগে, প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সরকার গঠনে তৃতীয় ফ্রন্টকে সমর্থনের সম্ভাবনা নাকচ করেন কংগ্রেস ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী।
গত শনিবার উত্তর প্রদেশের আমেথিতে নির্বাচনী প্রচারণার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাহুল গান্ধী বলেন, সরকার গঠনের জন্য কংগ্রেস প্রয়োজনীয় সমর্থন পাব- এ ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো ফ্রন্টকে সমর্থন করবো না। প্রয়োজনীয় আসন পাওয়ার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী।
দিল্লির মসনদে বিজেপিকে রুখতে কংগ্রেসকে বিকল্প স্যেকুলার ফ্রন্টকে সমর্থন দিতে হবে, ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী বামপন্থি রাজনৈতিক দল সিপিএম সম্পাদক প্রকাশ কারাতের এমন মন্তব্যের জবাবে রাহুল গান্ধী তার দলের অবস্থান পরিষ্কার করেন।
তবে, রাহুল-অমিত যাই বলুন না কেন, আগামী ১৬ মে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই দু’দলের অবস্থান স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।