আমার মা সব পারে

0
430
Print Friendly, PDF & Email

পৃথিবীর সেরা মা কে?
সেই যে একটা পৌরাণিক চীনা গল্প আছে না, এক প্রেমিকা প্রেমিককে পরীক্ষা করার জন্য বলল,
তোমার ভালোবাসার পরীক্ষা নিতে চাই আমি।
কী পরীক্ষা নেবে? সব পরীক্ষার জন্য আমি প্রস্তুত।
যাও, তোমার মায়ের হূৎপিণ্ডটা নিয়ে আসো।
প্রেমে অন্ধ প্রেমিক ছুটল মায়ের কাছে। মাকে হত্যা করে তাঁর হূৎপিণ্ড নিয়ে ছুটল প্রেমিকার কাছে, ভালোবাসার পরীক্ষায় পাস করতে…। পথে হঠাৎ আছড়ে পড়ল প্রেমিক। হাত থেকে ফসকে গেল মায়ের তাজা হূৎপিণ্ডটা। ছেলে খুঁজে পেতে হাতে নিল মায়ের তাজা হূৎপিণ্ড। তখনো ধক ধক করছে… মায়ের হূৎপিণ্ড এবার কথা বলে উঠল, ‘কিরে খোকা, ব্যথা পেলি?’
এটা নিছকই একটা গল্প। কিন্তু সন্তানের প্রতি তীব্র ভালোবাসা কেবল মায়ের পক্ষেই সম্ভব। এ জন্যই বোধ হয় মা সব সময়ই মা।
রিকশা-সিএনজি অটোর পেছনে প্রায়ই লেখা দেখি ‘মায়ের দোয়া’। আসলে মায়ের দোয়ার প্রতি সবারই একটা আলাদা আস্থা আছে। আমার মায়ের কাছে অনেকেই দোয়া নিতে আসে। পরিবারের নিজেদের লোকজন ছাড়াও বাইরের পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই আসে। আমার মা-ও সবার জন্য অকৃপণভাবেই সেই কাজটা করেন। আমার মায়ের আবার দোয়া করার একটা স্পেশাল জায়গা আছে, বিশাল আয়না সেট করা একটা স্টিলের আলমারির সামনে বসে তার দোয়া চলে। একদিন আমি ঠাট্টা করে বললাম, আম্মা, আপনার দোয়া তো কোনো কাজে আসবে না, সব আয়নায় রিফ্লেক্ট করে যাচ্ছে…!
মা অবশ্য তাঁর ‘উন্মাদ’ পুত্রের কোনো কথায় তেমন গুরুত্ব দেন না। এবারও দিলেন না।
মা দিবস উপলক্ষে আমার মাকে নিয়ে লেখার অনুরোধ এসেছে। তাঁকে নিয়ে নতুন করে আর লেখার কিছু নেই। তিনি এখন যেন এক ক্লান্ত মহিরুহ (ছোটখাটো এই মানুষটাকে আমি বিশাল মহিরুহই ভাবি সব সময়)। দীর্ঘ ৮৫ বছর ধরে আমাদের ছায়া দিয়ে এসেছেন… এখন তিনি বিদায় নিতে চান। মায়ের সঙ্গে আমি প্রায়ই মৃত্যু নিয়ে কথা বলি। তিনি জানান, তিনি মৃত্যুর জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। সারা জীবন তিনি মানুষের জন্য দোয়া করেছেন, এখন কেউ এলে তিনি বলেন তাঁর জন্য দোয়া করতে। তাঁর চাওয়া অবশ্য সামান্য, তাঁর যেন একটি সুস্থ মৃত্যু হয়। গ্ল্যাডিয়েটর-এর ম্যাক্সিমাসের সেই উক্তির মতো—
‘অ্যাট লিস্ট গিভ মি এ ক্লিন ডেথ…’
তবে না, আমরা মাকে এত তাড়াতাড়ি বিদায় দিতে চাই না। তিনি যদিও

শেয়ার করুন