বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি মামলায় আরো একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার সপ্তম বিশেষ জজ আদালতে ন্যাশনাল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাক্ষ্য প্রদান করেন। এ নিয়ে এ মামলায় তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো। শুরু থেকেই এ মামলায় পলাতক রয়েছেন কোকো। ২০১২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কোকোর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে আদালত।
২০১০ সালের ১ মার্চ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উপ-কর কমিশনার শাহীন আক্তার হোসেন কর ফাঁকির এ মামলাটি দায়ের করেন। ওই দিনই বিচারক কোকোর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় কোকোর বিরুদ্ধে ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে প্রদর্শিত আয়কর বিবরণীতে ৫২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা আয়ের তথ্য গোপন করে তার ওপর প্রযোজ্য কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়।
২০১১ সালের ২৩ জুন অর্থপাচার মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে ছয় বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালত। প্যারেলো মুক্তি পেয়ে কোকো বর্তমানে বিদেশে চিকিৎসাধীন আছেন।