বাংলাদেশের সহায়তায় সজাগ থাকবে রাশিয়া

0
167
Print Friendly, PDF & Email

বাংলাদেশের বিদ্যুত্-সংকট দূর করতে পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনে আরও সহায়তা দিতে চায় রাশিয়া। কেননা মস্কো চায়, দড়্গিণ এশিয়া ও এশিয়া-প্রশান্ত্ম মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে প্রতিনিধিত্বশীল অবস্থানে থাকুক বাংলাদেশ। এ জন্য ঢাকাকে সহায়তায় মস্কো সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখবে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাব আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ রম্নশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দর এ নিকোলায়েভ এ কথা বলেন।
রম্নশ রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। সেই সম্পর্কের রেশ ধরেই তার দেশ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। অথচ রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক কারণে ঘরে-বাইরে এর বিরোধিতা হচ্ছে। বিশেষ করে, পশ্চিমারা বাণিজ্যিক ফায়দা নিতে এটিকে ভয়ঙ্কর হিসেবে উলেস্নখ করে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্রের সঙ্গে তুলনা করছে। এটি মোটেও ঠিক নয়। বিরোধিতাকারীদের জেনে রাখা উচিত, এটি ফুকুশিমার চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ ও বিপদের আশঙ্কামুক্ত। পাশাপাশি এ বিষয়ে রম্নশ পারমাণবিক সংস্থা রোসঅ্যাটম যেমন অতিমাত্রায় সচেতন, তেমনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনও অনেক বেশি সড়্গম।
ডিক্যাব প্রেসিডেন্ট মাইনুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আঙ্গুর নাহার মন্টির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ইউক্রেন-রাশিয়া বিবাদ, দড়্গিণ-পূর্ব এশিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রম্নশ-মার্কিন মনসত্মাত্ত্বিক লড়াই, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ও সমুদ্রসম্পদ নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাশিয়ার অবস্থান তুলে ধরেন নিকোলায়েভ।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার আন্ত্মর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা পায়নি, এমন অভিযোগ তুলে পশ্চিমা অনেক রাষ্ট্র ও সংস্থা একটি নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে। রাশিয়া বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে? এমন প্রশ্নের জবাবে রম্নশ রাষ্ট্রদূত বলেন, নতুন নির্বাচন প্রয়োজন কি না, সেটি নির্ভর করবে এ দেশের জনগণ ও রাজনীতিবিদদের ওপর। তবে এতে কোনও সন্দেহ নেই যে, নির্বাচনপ্রক্রিয়া আরও উন্নত হতে হবে। রাশিয়া কোনও দেশের অভ্যন্ত্মরীণ বিষয়ে হসত্মড়্গেপ করবে না বলেও মন্ত্মব্য করেন তিনি।
ইউক্রেন প্রসঙ্গে নিকোলায়েভ বলেন, শান্ত্মি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। এখন সেই চুক্তিভঙ্গের যে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র করছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাশিয়াও চায়, ইউক্রেনে যে-সংকট সৃষ্টি হয়েছে এর সমাধান হোক। কিন্তু সেখানে অস্থিতিশীল কার্যক্রম আগে বন্ধ করতে হবে। কারণ রাশিয়া কোনওভাবেই চায় না, ইউক্রেনের অবস্থা ইরাক, আফগানিসত্মান কিংবা লিবিয়ার মতো হোক।

শেয়ার করুন