নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ চাঞ্জল্যকর ৭ খুনের বিষয়ে খুব শিগগিরই জনগণের সামনে সবকিছু পরিষ্কার করা হবে বলে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান। আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে র্যাবপ্রধান প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, ‘এই লোমহর্ষক ঘটনায় র্যাবের কেউ জড়িত থাকলে তাকেও রক্ষার চেষ্টা করব না। ঘটনার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি টিপু মুনশী র্যাবের ডিজির এই প্রতিশ্রুতির বিষয়ে জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংশ্লিষ্টদের আমরা বলেছি—যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে কমিটি উদ্বিগ্ন। জনপ্রতিনিধিরা এ ঘটনায় বিব্রত হয়েছে। কারণ, জনগণকে আমাদের জবাব দিতে হয়। বৈঠকে উপস্থিত পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকারও কথা দিয়েছেন—ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে, জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।’
নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে র্যাব-১১-এর কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনেছেন খুনের শিকার নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম। তার অভিযোগ তদন্তে র্যাবের পক্ষ থেকে গতকাল একটি কমিটি গঠনের পর আজ মঙ্গলবার সংসদীয় কমিটিকে এই প্রতিশ্রুতি দিলেন র্যাবপ্রধান মোখলেছুর রহমান। বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও ছিলেন।
র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ একজন মন্ত্রীর জামাতা, এ বিষয়ে টিপু মুনশী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গণমাধ্যম থেকে জেনেছি। আমরা সংশ্লিষ্টদের বলেছি—কোনো একজনের জন্য সরকার বা দল দায়ী থাকবে না। দায়ী যে-ই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এই ধরনের অপরাধ সাধারণ নাগরিক করলে যে শাস্তি হতো, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে তার শাস্তি এর চেয়েও বেশি হওয়া উচিত।’
টিপু মুনশী বলেন, ‘অপহরণ ও খুনের ঘটনা তদন্তের অগ্রগতি জানতে সংসদীয় কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে আবার বৈঠকে বসবে।’