থানায় অবহিত না করে সংশ্লিষ্ট কোনো এলাকায় অভিযান পরিচালনা করতে পারবে না র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিকেলে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা কমিটির এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, র্যাব কোনো এলাকায় অভিযানে গেলে ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট থানায় জানাতে জানাতে হবে।
এর কারণ হিসেবে বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, র্যাবের নামে নানা অভিযোগ ওঠায় এবং র্যাবের পরিচয় দিয়ে নানা ধরণের অপকর্ম ঘটছে বিধায় মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্র আরও জানায় এখন থেকে আর সাদা পোশাকেও র্যাবের পক্ষে কোনো অভিযান চালানো যাবে না।
এছাড়া, বৈঠকে ইয়াবাসহ সব ধরণের মাদক নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে রেড এলার্ট জারি করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সীমান্তে জোর তৎপরতা চালানোর সিদ্ধান্তও হয় বৈঠকে। সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে কোনো ফেনসিডিল কারখানা রয়েছে কিনা তা নিয়ে বিএসএফ-এর সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের বিষয়টিও আলোচনা করা হয়।
বৈঠকের পর সভাপতি আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের জানান, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় যে-ই জড়িত থাকুক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈঠকের অপর একটি সূত্র জানায়, র্যাব জড়িত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও ইতোমধ্যে র্যাবের প্রধানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী ছাড়াও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বেসামরিক, বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক (চুন্নু) এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।