বাড়ি ভাড়া লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করার পক্ষে মত

0
173
Print Friendly, PDF & Email

বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে কর আদায় করতে না পারায় ভাড়ার অর্থ লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করার পক্ষে মত জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন।

অধিকাংশ বাড়ির মালিক অর্থের উৎস জানাতে না পারায় তাদের করের আওতায় আনা যাচ্ছে না জানিয়ে রোববার চট্টগ্রাম চেম্বার আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এই মত প্রকাশ করেন।

গোলাম হোসেন বলেন, “আমরা ১ লাখ ৬২ হাজার বাড়ি চিহ্নিত করেছি। বাড়ি আছে, মালিকও আছে। কিন্তু মালিকরা বলতে পারছেন না বাড়ি তৈরির টাকা কোথা থেকে এসেছে।”

এই কারণে কর নেয়া যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, বাড়ি ভাড়া খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা নগদ লেনদেন হয়। তাই তিনি মনে করেন, এই লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে হওয়া উচিত।

“মালিক ও ভাড়াটিয়া দুই পক্ষেরই ট্যাক্সের বিষয় আছে। ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হলে আমরা বুঝতে পারব কে কত ভাড়া দেন, আর কে কত ভাড়া পান।”

তা হলে ভাড়াটেদেরও কর এড়ানোর সুযোগ বন্ধ হবে বলে মনে করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

আগামী পাঁচ বছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণের লক্ষ্যে আগামী বাজেটেই তার দিক-নির্দেশনা থাকছে বলে জানান তিনি।

“এবারের বাজেট অন্যবারের চেয়ে ভিন্ন। কারণ আগামী পাঁচ বছর সরকার কী করতে চায়, তা এ বাজেটেই প্রতিফলিত হবে।”

রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকার বাজেট হতে পারে। এতে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে।

“লক্ষ্য অর্জনে এবার ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে হবে। এ সরকারের শেষ বছরে অর্থাৎ ৫ বছর পর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হবে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের দ্বিগুণ।”

ফাইল ছবি ফাইল ছবি গোলাম হোসেন বলেন, অতীতের বৈদেশিক সাহায্যনির্ভর বাজেট থেকে বেরিয়ে এসে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ সম্পদনির্ভর বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে।
সভায় লিখিত বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম মানব সম্পদ উন্নয়ন, রপ্তানি বৃদ্ধিতে করণীয়, লোকাল এলসির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ উৎসে কর বাতিল ও অবকাঠামো উন্নয়নের প্রস্তাব করেন।

তিনি বলেন, চেম্বারের পক্ষ থেকে ১০৭টি লিখিত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দেশি আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীদের সুবিধা বৃদ্ধির প্রতি লক্ষ্য রেখেই এসব প্রস্তাব প্রণয়ন করা হয়েছে।

সভায় বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “নানা প্রতিবন্ধকতায় নতুন শিল্প স্থাপনে আমাদের মত পুরনো উদোক্তারা উৎসাহ হারাচ্ছি। কিন্তু নতুন প্রজন্মের শিল্প উদ্যাক্তাদের যদি উৎসাহিত করা না যায়, তবে দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব হবে না।”

সভায় চেম্বার পরিচালক, পরিবহন মালিক সমিতি, জুয়েলারি সমিতি, কর আইনজীবী সমিতি, বিজিএমইএ, ইস্পাত ব্যবসায়ী, শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন।

শেয়ার করুন