মেয়ে হিসেবে আপনি যে দারুণ রোমান্টিক মানুষটির প্রেমে পড়েছেন, সে একজন ছদ্মবেশি ‘সাইকো’ নয় তো? সাইকো প্রেমিক হলে সে আপনাকে সত্যিকার ভালোবাসে না। সে শুধু ভালোবাসার অভিনয় করে। তার সে উদ্দেশ্য হতে পারে ছোট বা বড় কোনো অপরাধ। এমন প্রেমিকদের হাতে জীবনহানিও হতে পারে আপনার। তাই এ লেখাটি পড়ুন এবং সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান ছদ্মবেশী প্রেমিকের খপ্পর থেকে।
১. সে খুবই রোমান্টিক!
আপনার প্রেমিক খুবই রোমান্টিক। সে জানে ঠিক কোন সময়ে কোন কথাটি বলতে হয়। তার প্রাথমিক লক্ষ্য থাকে যে কোনোভাবে হোক, আপনাকে তার দিকে আকর্ষণ করা। তার পৃথিবীতে সে আপনাকে নিয়ে যেতে পারলেই তার প্রাথমিক লক্ষ্য সাধন হয়। তার সর্বশক্তি দিয়ে সে রোমান্টিক হওয়ার চেষ্টা করে।
২. কৃত্রিমভাবে আকর্ষণীয় করে তোলে নিজেকে
ছদ্মবেশি প্রেমিক প্রথম দিন থেকেই নিজেকে একজন অত্যন্ত আকর্ষণীয় ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে। সে তার নানা অর্জনের কথা ফুলিয়ে ফাপিয়ে বলবে। তারা নিজেকে আর্থিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী হিসেবেই উপস্থাপন করবে। তার এসব কথা সত্য কি না, তা নির্ণয় করার জন্য আপনার ইন্টারনেটের সহায়তা নিতে হবে। যদি তার কথার সঙ্গে বাস্তবের অসঙ্গতি পান তাহলে সাবধান হয়ে যেতে হব্
৩. সে কি অবমাননাকর কথা বলে?
যদি তার দিকে আপনি কিছুটা ঝুঁকে পড়েন, তাহলেই তার নানা অবমাননা শুরু হবে। তবে প্রথম দিকে এ অবমাননা শুরু হবে অত্যন্ত সামান্য পরিমাণে। এরপর ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকবে। প্রাথমিকভাবে সে আপনার কথার নানা ভুল ধরা শুরু করতে পারে। সম্পর্কের প্রথম দিকে একে স্বাভাবিক বিষয় বলে মনে হলেও পরে তার আসল রূপ বেরিয়ে আসবে।
৪. আপনার পোশাক ও মেকআপ নিয়ন্ত্রণ করে
একজন ছদ্মবেশি প্রেমিক আপনার নানা বিষয় নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে। এর মধ্যে থাকতে পারে আপনার পোশাক, আপনার মেকআপ ইত্যাদির মতো বিষয়। সে ঠিক করে দিতে চাইবে আপনার কোন পোশাকটি পরতে হবে। বাস্তবে এটি হতে পারে আপনাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য তার একটি উপায় বিশেষ।
৫. আপনাকে নিয়ে হাস্যরস
এ ধরনের প্রেমিকের অন্য একটি বৈশিষ্ট্য হতে পারে জনসম্মুক্ষে আপনাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করা। সে তার মজার বিষয়বস্তু বানাতে জনসম্মুখে আপনাকে হেয় করতে পারে। তার এ আচরণের ফলে আপনার মনে ধারণা জন্মাতে পারে যে, আপনার মাঝে সমস্যা রয়েছে। বাস্তবে সমস্যা যে তার মাঝেই রয়েছে, সেটি সে লুকিয়ে রাখে।
৬. আপনি কোথায়?
সম্পর্কের এক পর্যায়ে সে আপনার সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবে। তার নানা কর্মকাণ্ড লুকিয়ে রাখার জন্যও এটা তার প্রয়োজন। সময়-অসময়ে সে আপনাকে ফোন করবে। এমনকি আপনি ক্লাসে, পরীক্ষার হলে বা ডাক্তারের কাছে অ্যাপয়েন্টমেন্টে গেলেও সে ফোন করতে ছাড়বে না। এর অন্যতম উদ্দেশ্য আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করা। আর আপনি কোনো ফোন ধরতে না পারলে সে তার জন্য অতিরিক্ত প্রশ্ন, জিজ্ঞাসাবাদ বা বাড়াবাড়ি করবে।
৭. আপনি কি স্বাচ্ছন্দ্য?
এ ধরনের ব্যক্তির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তার নিজের প্রয়োজনটাকেই বড় করে দেখা। সবসময় সে আপনার কমফোর্ট জোন থেকে বের করে দেবে। যৌনতার ক্ষেত্রে সে নিজের চাহিদাটাই বড় করে দেখবে। আপনার সুবিধা-অসুবিধার দিকে সে তাকাবেও না।
৮. প্রতারণা
এ ধরনের ভণ্ড প্রেমিক প্রতারণায়ও সিদ্ধহস্ত। নানাভাবে সে বোঝাতে চাইবে আপনাকে সে খুবই ভালোবাসে। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো ভিত্তি থাকবে না। কোনো খেলার মাধ্যমেও সে আপনার সঙ্গে প্রতারণা করতে পারে। দেখা যাবে খেলার নিয়ম সে নিজের সুবিধামতো করে তৈরি করেছে আবার তা প্রয়োজনে পরিবর্তনও করেছে।
৯. সবকিছুতেই অন্যকে দোষারোপ
এ ধরনের মানুষেরা সব সময় অন্যদের দোষারোপ করে। যদি সে কোনো চায়ের কাপ ভেঙে ফেলে তাহলে বলবে কাপটি ঠিকভাবে রাখা হয়নি। কিংবা তার কম্পিউটারে ভাইরাস ধরলে সে আপনার পাঠানো ছবিকেই দায়ী করবে। সব ক্ষেত্রেই সে কোনো না কোনোভাবে অন্যের দোষ বের করবে।
১০. অন্য সবাই তাকে ভালো মানুষ বলে!
সে দাবি করবে অন্যরা তাকে ভালো মানুষ বলে। আর সে নানা আকর্ষণীয় কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আপনার আশপাশের কিছু মানুষের মন জয় করবে। তারা তাকে ভালো মানুষ হিসেবেই মনে করবে।
১১. শারীরিক আক্রমণ
হঠাৎ শারীরিকভাবে আক্রমণ এ ধরনের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে তারা সামান্য আঘাত করে এবং তারপর সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করে। এরপর এ সমস্যা ক্রমে বাড়তে থাকে। কোনো লক্ষণ ছাড়াই তারা শারীরিক আক্রমণ করতে পারে। যা একসময় মারাত্মক হয়ে ওঠে এমনকি জীবনহানিরও শিকার হতে পারেন আপনি।