আপনি যেমন পরিবেশে বড় হয়েছেন আপনার সঙ্গীকেও ঠিক তেমনই চাইবেন। অর্থাৎ কোনো পুরুষ যদি রুক্ষ পরিবেশে বড় হয়ে ওঠেন তারা স্বাভাবিক নারীসুলভ নারীদের একটু কমই পছন্দ করেন। এমনই তথ্য উঠে এসেছে ফিনল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব টার্কু’র এক গবেষণায়।
এক দল গবেষক এ বিষয়ে গবেষণা করেন। তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘লাইভ সায়েন্স’। সেখানে বলা হয়, মানুষের বেড়ে ওঠার পরিবেশ তার যৌনতা ও সঙ্গিনী বাছাইয়ের ওপর প্রভাব ফেলে। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ যে সব দেশে রয়েছে, সেখানকার পুরুষরা সেই সব নারীদের পছন্দ করেন যাদের রয়েছে পটল চেরা চোখ, ফোলা ঠোঁট আর কোমল মুখশ্রী। পছন্দের এই বিভেদ কেনো হয় তা এখনো পরিষ্কার নয়।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক উসজুলা মারসিনকাওয়াসা বলেন, রুক্ষ পরিবেশের পুরুষরা চান তাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম এমন হোক যেন তারাও এই রুক্ষ পরিবেশে বেড়ে ওঠার জন্য মানানসই হয়ে জন্ম নেয়। আর সে জন্য মায়েরও রুক্ষতার সঙ্গে মানানসই হতে হবে। তবে এ জন্য রুক্ষ পুরুষদের কিছুটা সমস্যা হয় তার সঙ্গিনীকে নিয়ে। কারণ রুক্ষ স্বভাব ও চরিত্রের মেয়েদের এতো সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
গবেষণায় ২৮টি দেশের এক হাজার ৯৭২ জন রুক্ষ পুরুষদের কাছে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের চেহারার মেয়েদের ছবি পাঠানো হয় পছন্দ করার জন্য। এরপর তাদের পছন্দের ওপর ভিত্তি করে দেশের সামাজিক পরিস্থিতি অনুযায়ী রুচির বিবেচনা করা হয়।
দেখা গেছে, নেপালি পুরুষরা মেয়েলি চেহারা পছন্দ করেন না। একই পছন্দ দেখে গেছে নাইজেরিয়া এবং কলোম্বিয়ান পুরুষদের মধ্যে। জাপানি পুরুষরা মেয়েলি চেহারার দারুণ ভক্ত। তাদের পরেই আছেন অস্ট্রেলিয়ান পুরুষরা। এই দলে আমেরিকান পুরুষদেরও রাখা হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের বিবর্তনবাদের মনোবিজ্ঞানী ড্যান ক্রুগনার বলেন, নারীদের চেহারা বলে দেয় তাদের উর্বরতার মাত্রা।