শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়ায় পদ্মা সেতু রেস্ট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, জুনের শেষ সপ্তাহে কার্যাদেশ দেওয়ার কথা থাকলেও ওই মাসের প্রথম সপ্তাহেই এ কার্যাদেশ দেয়া সম্ভব হবে।
চায়না মেজর ব্রিজ এই কার্যাদেশ পেতে যাচ্ছে, তবে এখনো যাচাইবাছাইয়ের বিষয় রয়েছে। চায়না মেজর ব্রিজের প্রস্তাব জাতীয় সার্থের বিরুদ্ধে না গেলে তারাই এ কাজ পেতে যাচ্ছে, বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে মাওয়া এপ্রোচ রোডের কাজ আনেকাংশ এগিয়ে গেছে। মাওয়া ঘাটকে জুরুরিভিত্তিতে স্থানান্তর করতে গিয়ে আপাতত শিমুলিয়া বাজারের কাছে ঘাট স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে।
পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত শুরু করার কারণেই মাওয়া ঘাটকে শিমুলিয়ায় আপাতত অস্থায়ীভাবে স্থানান্তর করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
তবে মাওয়া ঘাটকে স্থায়ীভাবে কান্তিপাড়ায় স্থানান্তর করা হবে, তার জন্য এক বছর সময় প্রয়োজন।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, মাওয়া তীর রক্ষা বাঁধের কাজ প্রায় শেষ। ১৩৯ কোটি টাকা ব্যায়ের এ প্রকল্পে সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে ১৪ লাখ জিও ব্যাগের মধ্যে ১০ লাখ জিও ব্যাগ নদীতে ফেলেছে। আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে বাকিগুলোও ফেলা শেষ হবে। সেক্ষেত্রে আগমী এক সপ্তাহের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
পদ্মা সেতুর প্রকল্পের নদী শাসনের কাজকে বেশী গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এজন্য আগমী ২৯ মে প্রকল্পের নদীশাসনের কাজের আর্থিক প্রস্তাব দাখিল করবে চীন, কোরিয়া, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসের চারটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রকল্পের ব্যায় ধরা হযেছে সাত হাজার কোটি টাকা।
এছাড়া মাওয়া থেকে বাবুবাজার ব্রিজ পর্যন্ত মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করা হবে বলেও জানান তিনি।