টেলিযোগাযোগ খাতে সমন্বিত লাইসেন্স দাবি

0
213
Print Friendly, PDF & Email

সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে টেলিযোগাযোগ খাতে সমন্বিত লাইসেন্স দেয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে লাইসেন্স দেয়ার ফলে টেলিযোগাযোগ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সর্বোপরি এর শিকার হচ্ছেন গ্রাহক। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘টেলিযোগাযোগ নীতিমালার সংশোধনী’ বিষয়ে গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা একথা বলেন।

টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) উদ্যোগে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লার্ন এশিয়ার চেয়ারম্যান শ্রীলংকার নাগরিক রোহান সামারজিভা। টিআরএনবি সভাপতি আবদল্লাহ মামুনের সভাপতিত্বে আলোচনা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল জাহিদ।

প্রধান অতিথি টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বর্তমান নীতিমালায় যে ফাঁকফোকরগুলো রয়েছে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যুগোপযোগী করতে হবে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বলেন, সরকার কিভাবে কাজ করবে তা বিনিয়োগকারীরা জানতে চায়। তাই টেলিযোগাযোগ নীতিমালায় পরিবর্তন আনা দরকার।

গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মাহমুদ হোসাইন বলেন, আমূল পরিবর্তন করতে গিয়ে আগের নীতিমালার ভালো দিকগুলো যেন বাদ না যায়। তিনি বলেন, মোবাইল অপারেটরদের অনেক বেশি ট্যাক্স দিতে হয়। ট্যাক্সের চাপ কমানো উচিত।

রবির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদুর রহমানও বলেন, টেলিযোগাযোগ নীতিমালার সঙ্গে তথ্য প্রযুক্তি নীতিমালার প্রয়োজন রয়েছে।

গ্রামীণফোনের ডিরেক্টর মুনির হাসান বলেন, তরঙ্গের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে এর পুনর্গঠন প্রয়োজন। সেই সঙ্গে তরঙ্গ বরাদ্দের বিষয়ে একটি রোড ম্যাপ থাকা চাই।

বাংলালিংকের সিনিয়র ডিরেক্টর জাকিউল ইসলাম বলেন, স্পেকট্রামের একটি রোডম্যাপ থাকা উচিত। কনটেন্ট কিভাবে সহজলভ্য এবং বাংলায় করা যেতে পারে তা নীতিমালায় আসতে পারে।

এয়ারটেলের হেড অব রেগুলেটরি অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স শাহ মো: ফজলে খোদা বলেন, তরঙ্গ শেয়ার করা যেতে পারে। তাহলে তরঙ্গের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ আবু সাঈদ খান বলেন, ব্রডব্যান্ড পেনেট্রেশনের লক্ষ্য ও টার্গেটের বিষয়গুলো নীতিমালায় আসতে হবে। নীতিমালায় আমূল পরিবর্তন দরকার।

শেয়ার করুন