বাজেটকে জেন্ডার সংবেদনশীল করে তোলার জন্য এখন থেকে আর বাজেট বরাদ্দে নারীর হিস্যা নিয়ে দর কষাকষি নয়, বরং বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির চাইতে বেশি জোর দিতে হবে বরাদ্দকৃত বাজেটের সুফল যথাযথ ব্যক্তি/উপকারভোগীর কাছে পৌঁছানোর উপর। বাজেট বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াটি নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করা দরকার এবং এ লক্ষ্যে একটি জেন্ডার মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষজ্ঞগণ। তাই তারা সেই সঙ্গে জেন্ডার বাজেটিং প্রক্রিয়ার প্রভাব বা ফলাফল নিয়ে আরো নিরীক্ষাধর্মী গবেষণা হওয়া প্রয়োজন বলে দাবি করেন। স্টেপস্ টুয়ার্ডস্ ডেভেলপমেন্টের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ দাবি করেন।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় বাজেট ২০১৪-এর জেন্ডার সংবেদনশীলতা’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। সভাপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিত কুমার চক্রবর্তী।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবং গণসাক্ষরতা অভিযান নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, জাতিসংঘ সিডও কমিটির সাবেক সভাপতি সালমা খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সৌরভ শিকদার, ড্যানচার্চএইড কান্ট্রি ম্যানেজার,হাসিনা ইনাম এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন-বাংলাদেশের অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর চন্দন গোমেজ।
সভায় সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয় সিনিয়র সহকারী সচিব তারিকুল ইসলাম খান এবং স্টেপস্ টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট-এর পক্ষ থেকে সমন্বয়ক মামুনুর রশীদ দুটি পেজেনটেশন উপস্থাপনা করেন। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন স্টেপস্ টুয়ার্ডস্ ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, নারী নির্যাতন, পাচার রোধ, কর্মজীবী নারী ও ছাত্রীদের জন্য হোস্টেল ও গার্মেন্টস কর্মীদের শিশুদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন, তৃণমূলের নারী জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতায়ন ইত্যাদির লক্ষ্যে কর্মসূচির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। দুর্নীতির কারণে যাতে এই কর্মসূচিগুলোর সুফল হারিয়ে না যায় তার জন্য সরকার ধাপে-ধাপে তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত জবাবদিহিতার সংস্কৃতি চালু করেছে।