ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: এমবিএ পাশ করা মেধাবী যুবক ফারুকের দিনে তিন হাজার টাকার অক্সিজেন লাগে। এ ভাবে তিনি দুই বছর লাইফ সাপের্টে বেচে আছেন। ২০১২ সালের জুন মাস থেকে এ পর্যন্ত অক্সিজেন ও চিকিৎসা বাবদ তার ব্যায় হয়েছে পঞ্চাশ লাখ টাকা। তারপরও জীবন মৃত্যুর সদ্ধিক্ষনে দাড়িয়ে আছে ফারুকের বেচে থাকার স্বপ্ন। প্রতি দিন তিটি বড় কৃত্রিম অক্সিজেন নিয়ে ঘরের বারান্দায় দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছেন ফারুক। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর Jhenidah Faruk Pictureগ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে ফারুক ২০০২ সালে সরকারি বিএল কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞানে মাস্টার্স এবং ২০১১ সালে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবন শেষ করে বাড়ি ফিরলে ২০১২ সালে হঠাৎ করেই তার শ্বাসকষ্ট ও কাশি শুরু হয়। ঢাকার জাতীয় বক্ষ ব্যাধী হাসপাতালের পরিচালক ডা: রাশেদুল ইসলাম পরীক্ষা নিরিক্ষার পর জানান ফারুক তার দুরারোগ্য আইএলডি (ইন্টারটিটাল লান্স ডিজিট) রোগে আক্রান্ত।
এটি এমন একটি রোগ যা ফুসফুস অকার্যকর করে দেয়। রোগটি ধরাপড়ার পর দুই বছর ভারতের অ্যাপলো হাসপাতালের ফুসফুস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: সুরেশের কাছে চিকিৎসা নেন। শেষতক ডাক্তার সুরেশ চন্দ্র ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য ভারতের চেন্নায় অথবা সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কিন্তু এই চিকিৎসার জন্য প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয় হবে ফারুকের। টাকা জোগাড় করতে না পারায় ফারুকের নিবিড় ভাবে শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য চব্বিশ ঘন্টায় বড় অক্সিজেনের ৩টি সিলিন্ডার লাগে।
এর জন্য দিনে খরচ তিন হাজার টাকা। ফারুকের পতিা সিরাজুল ইসলাম জানান, ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে দুই বছরে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন আর পেরে উঠছি না। মেধাবী যুবক ফারুককে বাচাতে এখন কোটি টাকার দরকার। এই টাকা যোগাড় করার সাধ্য তাদের নেই। কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি সাহায্য করতে চাইলে মা: কামাল হোসেন, সঞ্চয়ী হিসাব নং-১২০৮৮, ইসলামী ব্যাংক, কালীগঞ্জ শাখা, ঝিনাইদহ। অথবা বিকাশ নং-০১৯৬২৪১৪২২৬, সাহায্য পাঠাতে পারেন।