পেরুতে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কূটনীতিক আনোয়ার চৌধুরী।
চলতি বছরের আগস্টেই নতুন দায়িত্ব নেয়ার কথা রয়েছে বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ফরেন কমনওয়েলথ অফিসের পরিচালক হিসেবে কর্মরত এই কূটনীতিকের।
বর্তমানে পেরুর রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত জেমস ডুরিসকে অন্য একটি কূটনৈতিক পদে বদলি করা হচ্ছে।
২০০৩ সালে ফরেন কমনওয়েলথ অফিসে যোগ দেন আনোয়ার চৌধুরী। এর আাগে বেসরকারি খাত, রয়্যাল এয়ার ফোর্স, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ক্যাবিনেট অফিসে কাজ করেছেন তিনি।
২০০৪ সালে ঢাকায় বৃটিশ হাই কমিশনার নিযুক্ত হন আনোয়ার। চার বছর এই দায়িত্ব শেষে ২০০৮ সালে ফরেন কমনওয়েলথ অফিসে ফিরে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালক (বহুপাক্ষিক নীতি) হিসেবে দায়িত্ব নেন। এর পর তিনি এফসিওর কার্যক্রম উন্নয়নে কাজ করেন। সেখানে কূটনৈতিক বিষয়ে সরকারের জন্য অনুপ্রেরণামূলক অনবদ্য কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ইনস্টিটিউট অব গভর্নমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
এর আগে বেসরকারি খাত থেকে ১৯৯৩ সালে রয়্যাল এয়ার ফোর্সের পরামর্শক ও কৌশলী হিসেবে যোগ দেন তিনি। ১৯৯৫ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক হন। ২০০০ সালে যুক্তরাজ্য ক্যাবিনেট অফিসের পরিচালক (ই-গভর্নমেন্ট) হিসেবে দায়িত্ব নেন আনোয়ার চৌধুরী।
পেরুর রাষ্ট্রদূত নিয়োগের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আমি রোমাঞ্চিত। পেরু একটি বর্ধনশীল দেশ। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
“পেরুর মানুষ, সংস্কৃতি ও খাবার আমার কাছে বাড়তি আকর্ষণের। যুক্তরাজ্য ও পেরুর মধ্যে ঘনিষ্টতর সম্পর্ক তৈরির আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে লিমায় আমাদের টিমের সঙ্গে মিলে কাজ করার জন্য আমি উন্মুখ হয়ে আছি।”
আনোয়ার চৌধুরী স্যালফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রিকেল অ্যান্ড ইলেকট্রিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিএসসি পাশ এবং ডারহাম ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ পাশ করেছেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত বৃত্তান্ত:
পুরো নাম: আনোয়ার বখত চৌধুরী
স্ত্রী: মমিনা চৌধুরী
সন্তান: এক ছেলে, দুই মেয়ে
২০১২-২০১৩ : এফসিওর পরিচালক (উন্য়ন)
২০০৮-২০১১ : এফসিওর পরিচালক (আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান)
২০০৪-২০০৮ : বৃটিশ হাই কমিশনার, ঢাকা
২০০০-২০০৪ : যুক্তরাজ্য ক্যাবিনেট অফিসের পরিচালক (ই-গভর্নমেন্ট)
১৯৯৫-১৯৯৯ : সহকারী পরিচালক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
১৯৯৩-১৯৯৫ : রয়্যাল এয়ার ফোর্সের পরামর্শক ও কৌশলী
১৯৮৬-১৯৯২ : পরামর্শক ও প্রকৌশলী, সিমেন্স প্লেসি পিএলসি
