প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপির এক নেতা বলেছে চোরাগোপ্তা আন্দোলন করবে। চোরাগোপ্তা আন্দোলন করে নাকি সরকারের পতন ঘটাবে। যাদের চুরি করার অভ্যাস, চোর চোর মন, যারা হত্যা ও চোরাগোপ্তা হামলার রাজনীতিতে বিশ্বাস, তারাই এসব করে। এখন দেশে যে চোরাগোপ্তা হত্যাকাণ্ড হচ্ছে এর জন্য তারাই যে দায়ী, এর মধ্যে আর কোনো সন্দেহ নাই।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুরের ভাওয়াল বদলে আলম সরকারি কলেজ মাঠে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নালিশ করে জিএসপি সুবিধা বন্ধ করে করেছেন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া আমেরিকার কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন জিএসপি সুবিধা বাতিল করার জন্য। তাঁর চিঠিতেই জিএসপি সুবিধা বন্ধ হয়েছে। নালিশ করলে বালিশ পেতে হয়, ভাঙা জুতার বাড়ি খেতে হয়। তাই তিনি আজ বালিশ পেয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি খেটে খাওয়া মানুষের জন্য। বাংলাদেশের মেহনতি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন অনেক শিল্পকারখানা বন্ধ করে দিয়েছিল। হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছিল। আমরা বন্ধ কারখানা ফের চালু করেছি।’
জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. শুকুর মাহমুদ জনসভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ, গাজীপুর-২ আসনের সাংসদ জাহিদ আহসান, গাজীপুর-৩ আসনের সাংসদ সিমিন হোসেন ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমত উল্লাহ খান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জনসভাস্থলে পৌঁছালে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ গাজীপুরের সাংসদ ও আওয়ামী লীগ নেতারা তাঁকে স্বাগত জানান।