মাগুরা সদর উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাঁকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তি চরমপন্থী সন্ত্রাসী বলে দাবি করেছে পুলিশ। উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের জোড়া মথনা বাজারে গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম তৈয়বুর রহমান (৪৫)। তিনি মাগুরা সদর উপজেলার উত্তর নওয়াপাড়া গ্রামের মোজাহার শিকদারের ছেলে। জোড়া মথনা গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়ি।
পুলিশ জানায়, হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতিসহ ১২টি মামলার আসামি ছিলেন তৈয়ব। একটি ডাকাতি মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেন, তৈয়বকে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জোড়া মথনা গ্রামের বাজারে টাকার বিনিময়ে ক্যারম খেলা হয়। গতকাল রাত ১০টার দিকে ওই বাজারে ক্যারম খেলছিলেন তৈয়ব। এ সময় ৮-১০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাঁকে ঘিরে ফেলে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।
ওসি জাহাঙ্গীর আলম দাবি করেন, চরমপন্থী সন্ত্রাসী দাউদ হোসেনের নামে এলাকায় একটি বাহিনী আছে। এটি ‘দাউদ বাহিনী’ নামে পরিচিত। দাউদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তৈয়ব। এই গোষ্ঠীটি নিষিদ্ধঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন সর্বহারা ও পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল জনযুদ্ধ) নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধ করে আসছে।
দাউদ বাহিনীর এক সময়ের সদস্য আলফু (৪০) ও তাঁর সহযোগীরা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে পুলিশের ধারণা।
তৈয়বের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে।
