বঙ্গোপসাগরে পাওয়া একটি বিমানের কিছু ধ্বংসাবশেষকে নিখোঁজ মালয়শীয় বিমানের ধ্বংসাবশেষ বলে দাবী করেছিল অস্ট্রেলিয়ার একটি বেসরকারী কোম্পানি, কিন্তু ওই সম্ভবনাকে বাতিল করে দিয়েছে বিমান তল্লাশি সমন্বকারী সংস্থা।
দ্য জয়েন্ট এজেন্সি কোর্ডিনেশন সেন্টার (জেএসিসি) নিখোঁজ বিমানের খোঁজে পরিচালিত বহুজাতিক তল্লাশি অভিযান সমন্বয় করছে।
এই জেএসিসি বলেছে, নিখোঁজ বিমানটি অস্ট্রেলিয়ার উপকূল বরাবার দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে পড়েছে বলেই বিশ্বাস করেন তারা।
বাংলাদেশের উপকূলে ও মিয়ানমার ও ভারতের মধ্যবর্তী এলাকায় অবস্থিত বঙ্গোপসাগর বর্তমান তল্লাশি এলাকা থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে অবস্থিত। এখান থেকে একটি বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার কথা জানিয়েছে অস্ট্রেলীয় কোম্পানি জিওরেজোনেন্স।
এ বিষয়ে জিওরেজোনেন্স এক বিবৃতিতে বলেছে, “ধ্বংসাবশেষগুলো এমএইচ৩৭০’র কোম্পানি এটি ঘোষণা করেনি, যাইহোক এটি বিষয়টি তদন্ত করছে।”
কোম্পানিটি জানিয়েছে, তাদের কাছে থাকা তথ্য ৩১ মার্চ তারা মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স ও অস্ট্রেলিয়ার মালয়শীয় ও চীনা দূতাবাসের কাছে এবং ৪ এপ্রিল জেএসিসি’র কাছে পাঠিয়েছে।
কিন্তু এসব কর্তৃপক্ষের সাড়া দেওয়ার বিষয়ে অনীহায় জিওরেজোনেন্স কোম্পানি বিস্মিত হয়েছে বলে জানিয়েছে।
নিজেদের ওয়েবসাইটে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “কোম্পানির প্রাযুক্তিক সামর্থ্য সম্পর্কে ধারণার অভাবেই সম্ভবত এমন হয়েছে, অথবা জেএসিসি খুবই ব্যস্ত, অথবা দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে চলমান অনুসন্ধান এলাকাই বিমানের ধ্বংসাবশেষ থাকার একমাত্র এলাকা বলে মনে করছেন তারা।”
অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বাধীন তল্লাশি দল জানিয়েছে, নিখোঁজ বিমানটির অবস্থান শনাক্ত করার জন্য তারা উপগ্রহ ও অন্যান্য উৎসের তথ্য ব্যবহার করছেন। কিন্তু জিওরেজেোনেন্সের প্রতিবেদনে যে এলাকার কথা বলা হয়েছে তা তল্লাশি এলাকার আওতাভুক্ত নয়।
“তল্লাশি এলাকার দক্ষিণাংশ নিখোঁজ বিমানটির শেষ আশ্রয় হওয়ায় যৌথ আন্তর্জাতিক তদন্ত দল সন্তুষ্ট,” বলেছে জেএসিসি।
গত ৮ মার্চ মালয়শীয় এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে রহস্যময়ভাবে হারিয়ে যায়। এ সময় বিমানটিতে যাত্রী ও ক্রু’সহ ২৩৯ জন আরোহী ছিল।