মঙ্গলবার রাতে বড়ভিটা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কাছে বাঁধে ভাঙ্গন ধরে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
নীলফামারী পানি উন্নয় বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী টিএম নুরুল ইসলাম জানান, ‘বোরিং’ করে (বাঁধ কেটে পাইপ বসিয়ে) পানি নেয়ার ফলেই বাঁধের প্রায় ৬০ ফুট অংশ ভেঙ্গে যায়।
ক্যানেলের ভাঙ্গনে বের হওয়া পানিতে দক্ষিণ বড়ভিটা, ঘোনপাড়া ও কামারপাড়া গ্রামের প্রায় ৬০ বিঘা জমির বোরো ক্ষেত নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম।
তবে রাতেই দ্র্রুত বাঁধটি মেরামত করায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পান ওই এলাকার কৃষকরা।
কৃষকরা জানিয়েছেন, এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে মশিউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে বাঁধ কেটে জমিতে সেচ দিয়ে আসছিলেন।
তাকে নিষেধ করলেও শোনেননি। এজন্য তার শাস্তির দাবিও করেন তারা।
দক্ষিণ বড়ভিটা গ্রামের ডাঙ্গাপাড়া মহল্লার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক একরামুল হক (৪৫) জানান, বাঁধ ভাঙ্গার খবর শুনে এসে দেখেন তার সাত বিঘা জমির ধানক্ষেত পানিতে ডুবে রয়েছে।
এই ধান আর পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
একই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আফচার আলী জানান, মানুষের কাছ থেকে চার বিঘা জমি আধি (বর্গা) নিয়ে ধার দেনা করে জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছেন।
“কিন্তু রাতে বাঁধ ভেঙ্গে আমার সব ধান শেষ হয়ে গেছে। কীভাবে মানুষের ঋণের টাকা শোধ করব আমি?”
বাবুপাড়া মহল্লার কৃষক কমলেশ রায় জানান, তার ২০ বিঘা জমির বোরো ধান নষ্ট হয়েছে এবং পুকুরের মাছ খালের পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে।