দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, এখন কোনো মানুষের নিরাপত্তা নেই। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে অতিদ্রুত সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন প্রয়োজন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিট থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চেয়ারপারসনের গুলাশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জার্মানির ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এ বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
শমসের মবিন জানান, খালেদা জিয়া জার্মান সংসদীয় প্রতিনিধিদের বলেন, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন এদেশের মানুষ বর্জন করেছে। ভোটার ও প্রার্থীবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় এসছে তারা জনগণের প্রতিনিধি নয়। এমনকি সংসদের স্পিকার ও বিরোধী নেত্রী যাকে বলা হচ্ছে তিনিও অনির্বাচিত। তাই বর্তমানে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে।
খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি অতীতেও বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, বর্তমানেও করছে, ভবিষ্যতেও করবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ব্যাপকহারে খুন, গুম চলছে। কিন্তু সরকার নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে।
শমসের মবিন আরও জানান, জার্মান প্রতিনিধি দল খালেদা জিয়াকে বলেছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের সরকারের কাছে জার্মান সরকারের কিছু প্রশ্ন রয়েছে। জার্মান সরকার মনে করেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। তাই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে অতিদ্রুত সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হওয়া দরকার।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।