হাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক মালির স্বপরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহনের খবর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হওয়ায় তোলপার সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ হতে পাঠানো ‘ইসলাম ধর্ম গ্রহণ’ শিরোনামে পাঠানো ঐ সংবাদটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারী করেছেন। একইসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালকের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী ১৫ মে এর মধ্যে রুলের জাবাব দিতে বলা হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম, সিন্ডিকেট, রেজিস্ট্রার, জনসংযোগ কর্মকর্তা, জনসংযোগ পরিচালককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বুধবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। আদালত দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকাটির প্রকাশিত সংবাদ আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম।
উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত মালি শ্রী পরেশ চন্দ্র গোয়ালা, পিতা মৃত হিরালাল গোয়ালা, গ্রাম- গাছা, থানা-জয়দেবপুর, জেলা গাজীপুর স্বপরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন বলে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। এ সংবাদ পরদিন ২৬ এপ্রিল দৈনিক জনকন্ঠে প্রকাশিত হয়। ফলে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল মহলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তোলে। পরবর্তীতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে ঐ সংবাদ প্রচারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন প্রশাসনের কোন রকম সংশ্লিষ্টতা নেই এবং উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই এই সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।