দুই যুগ আগে খ্যাতনামা ঐতিহাসিক অধ্যাপক কে আলীর সঙ্গে ইতিহাসের একটি বিষয় নিয়ে আলাপ করার সুযোগ হয়। শ্রদ্ধেয় স্যারকে বলেছিলাম, কোনো কোনো ঐতিহাসিকের লেখা ইতিহাসে হিন্দুদের ভীরু ও কাপুরুষ হিসেবে দেখানোর যে চেষ্টা চলেছে তা সত্যের অপলাপ। এটি সংশ্লিষ্ট ঐতিহাসিকদের অনুদারতার প্রতিফলন। অধ্যাপক কে আলী আমার কথায় কিছুটা হলেও যেন থমকে গিয়েছিলেন। এমন তীর্যক ও কঠোর মন্তব্য তিনি হয়তো আশা করেননি। তবে এই থমকে যাওয়া ছিল মুহূর্তের জন্যই। আত্দস্থ হতেই বলেন, হিন্দুদের ভীরুতা ও কাপুরুষতা নিয়ে যে সমালোচনা রয়েছে সে সম্পর্কে তোমার ভিন্নমত পোষণের কারণ কী? কেন তুমি ঐতিহাসিকদের এ বক্তব্যকে অনুদার বলে অভিহিত করছ?
অধ্যাপক কে আলীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তার লেখা ইতিহাস বইয়ের কিছু মন্তব্য সম্পর্কে আমার ভিন্নমতের কথা বললাম। উল্লেখ করলাম, মুসলমানদের সিন্ধু বিজয়ের কথা। মুহাম্মদ বিন কাশিমের নেতৃত্বে। ভারতবর্ষে মুসলিম আধিপত্যের সূচনা। সিন্ধু ছিল আর্থিক দিক থেকে সে সময়কার ভারতবর্ষের অন্যতম দুর্বল রাজ্য। এ রাজ্যের রাজা ছিলেন দাহির। স্বেচ্ছাচারী হিসেবেও তার দুর্নাম ছিল। তবে তিনি ছিলেন সাহসী ও স্বাধীনচেতা। দামেস্কর উমাইয়া খলিফা বারবার সিন্ধু অভিযানে সৈন্য পাঠিয়ে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত সফল হন মুহাম্মদ বিন কাশিম। সিন্ধু অভিযানে ব্রাহ্মণ্যবাদের হাতে নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর সমর্থন পান বিন কাশিম। যা রাজা দাহিরের পরাজয় অনিবার্য করে তোলে। উমাইয়া শাসন ইসলামের ইতিহাসে একটি বিতর্কিত অধ্যায় হলেও তাদের সিন্ধু বিজয় নানা কারণে স্মরণীয়। এ বিজয়ের মাধ্যমে স্থাপিত হয় ভারতীয় উপমহাদেশে শত শত বছরের মুসলিম শাসনের ভিত্তি।
রাজা দাহির মুহাম্মদ বিন কাশিমের হাতে পরাজিত হওয়ার পর সপরিবারে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে আত্দহত্যা করেন। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, ভীরু বা দুর্বলচিত্তের কোনো মানুষ দাসত্বের চেয়ে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুবরণের কথা ভাবতে পারে কিনা? অসীম সাহসীরাই কেবল আত্দসমর্পণের বদলে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারে। শত্রুর হাতে আত্দসমর্পণ করার চেয়ে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুবরণের ঘটনা রাজা দাহিরের ক্ষেত্রেই শুধু ঘটেনি। অনেক রাজপুত রাজা ভিন্ দেশিদের কাছে আত্দসমর্পণের বদলে এভাবেই মৃত্যুকে বেছে নেন। স্যারকে বলেছিলাম, হিন্দুদের জাতিগতভাবে ভীরু ও কাপুরুষ ভাবার মধ্যে রয়েছে আরও বড় ভ্রান্তি। কারণ বিশ্বে এ মুহূর্তে সবচেয়ে সাহসী হিসেবে গুর্খা সৈন্যদেরই ভাবা হয়। তারা কিন্তু ধর্মগতভাবে হিন্দু। রাজপুত ও মারাঠা বীরদের শ্রেষ্ঠত্ব মুসলিম শাসনামলেও স্বীকৃত হয়েছে।
অধ্যাপক কে আলী স্যার বললেন, মুসলমানদের কাছে হিন্দু শাসকদের পরাজয়ের জন্য কোন কারণকে তুমি দায়ী কর? তাকে বললাম, এ বিষয়ে সবচেয়ে নিখুঁত কারণ দেখিয়েছেন সমাজবিজ্ঞানী কার্ল মার্কস। মার্কসবাদী সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা এই মনীষী কখনো ভারতে আসেননি। কিন্তু তার লেখা ‘ভারতীয় ইতিহাসের কালপঞ্জি’ নামের বইটি ভারতীয় সমাজ, ধর্ম ও রাজনীতি বিশ্লেষণের শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হিসেবে বিবেচনার দাবি রাখে। কার্ল মার্কস তার এই বইতে বলেছেন, ভারতবর্ষ কখনোই ভারতীয়দের দ্বারা ঐক্যবদ্ধ হয়নি। বলেছেন, যখনই কোনো বিদেশি শক্তি ভারতবর্ষ আক্রমণ করেছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভারতীয়রা পরাজিত হয়েছে। তিনি এ জন্য ভারতীয়দের দেশপ্রেম ও শক্তি-সামর্থ্যকে দায়ী না করে দায়ী করেছেন হিন্দুত্ববাদকে। বলেছেন, জাতিভেদ প্রথার কারণেই ভারতীয়রা কখনোই বিদেশি আক্রমণের বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে পারেনি। তিনি হিন্দুত্বকে ‘একই সঙ্গে ভোগবাদ ও আত্দনিগ্রহের’ মতবাদ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
তথাকথিত হিন্দুত্ব বা ব্রাহ্মণ্যবাদী চেতনা নিন্দিত হলেও তার সঙ্গে হিন্দু ধর্মকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। হিন্দু ধর্ম বিশ্বের উদারতম ধর্মগুলোর একটি। হিন্দুত্ববাদ বা ব্রাহ্মণ্যবাদী তত্ত্ব হিন্দু ধর্মের অন্তরের কথা নয়। বেদ-বেদান্ত পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সেই অতীত যুগে হিন্দুধর্ম বহুমতকে প্রশ্রয় দিয়েছে। হিন্দুধর্মে থেকেও যেমন নিরশ্বরবাদী চেতনাকে লালন করা যায়, তেমনি একেশ্বরবাদকে কেউ পরম সত্য হিসেবে বিবেচনা করলেও তাকে অগ্রাহ্য করা হয়নি। বহু ঈশ্বর বা দেবদেবীর পূজাকেও আত্দস্থ করেছে হিন্দুধর্ম। হিন্দু ধর্মের বহুপথ ও বহুমতের সহাবস্থান এবং মানবতাবাদী চরিত্রের ব্যত্যয় ঘটিয়ে পরবর্তীতে ব্রাহ্মণ্যবাদের উত্থান ঘটে। ব্রাহ্মণ্যবাদ বা তথাকথিত হিন্দুত্ববাদ ভারতীয়দের ঐক্য ও অগ্রগতির পথে বরাবরই বাধা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ব্রাহ্মণ্যবাদ হিন্দু সমাজকে এমনভাবেই জিম্মি করেছে যে, ভারতের গত ৫ হাজার বছরের ইতিহাস হলো কার্ল মার্কসের ভাষায়, ‘বিদেশিদের কাছে ভারতীয়দের পদানত হওয়ার ইতিহাস।’
অধ্যাপক কে আলী আজ আমাদের মাঝে নেই। ‘ইসলামের ইতিহাস’ খ্যাত এ পরম শ্রদ্ধেয় ঐতিহাসিকের সঙ্গে কিছু ঐতিহাসিক মন্তব্য নিয়ে আলাপনের কথাটি হঠাৎ মনে পড়ল ভারতের চলমান সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এ নির্বাচনে ‘মোদি’ হাওয়া অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। এটিকে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ হিসেবে দেখছে বিজেপিসহ রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘের চেলা চামুন্ডারা। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন কয়েক বছর আগে কলকাতায় দেওয়া এক বক্তৃতায় হিন্দুত্ববাদের কঠোর সমালোচনা করেন। বলেন হিন্দুত্ববাদের রাজনীতি ভারতের ইতিহাস চর্চায় বিরাট ক্ষতির কারণ ঘটাচ্ছে। কলকাতার বাংলা একাডেমিতে ‘ভারত ও ভারততত্ত্ব’ নামের একটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে অমর্ত্য সেন ছিলেন মূল বক্তা। ওই সঙ্কলিত গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন প্রখ্যাত ভারততত্ত্ববিদ ড. সুকুমারী দেবী। ড. অমর্ত্য সেন বলেছিলেন, হিন্দুত্ববাদীরা প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্যকে তাদের সম্পত্তি বলে মনে করে। দুঃখের বিষয় হিন্দুত্ববাদীদের বেশির ভাগ সংস্কৃতি পড়েন না। প্রাচীন ভারতবর্ষকে জানতে হলে বেদ-উপনিষদ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, হিন্দুত্ববাদীরা বেদকে তাদের রাজনৈতিক আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করতে চাচ্ছে। বেদ সম্পর্কে চরম কল্পনার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। অথচ বেদকে আশ্রয় করে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা সহজ নয়। ড. সেনের মতে, হিন্দুত্বের কুফল ভারতীয় রাজনীতিকে নগ্নভাবে গ্রাস করছে। যার পরিণতিতে সংখ্যালঘু নির্যাতন ঘটছে। গোধরা কাণ্ড, সিন্ধু সভ্যতাসহ ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃতি, পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টির মতো অপরাধমূলক কাজকর্ম মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। বইটির লেখিকা ড. সুকুমারী দেবী প্রকাশনা উৎসবে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন কেন বেদকে কেন্দ্র করে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা যায় না। বেদ ও বেদ-পরবর্তী গ্রন্থগুলোতে নাস্তিকতাবাদের কথাও যেমন রয়েছে, তেমনি ব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তি নিয়েও সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের আদি ধর্ম হলো সহিষ্ণুতা। হিন্দুধর্মের মূল বাণী স্বামী বিবেকানন্দ সহজ-সরলভাবে প্রচার করে গেছেন। একশ্রেণীর রাজনীতিবিদ ভারতের মূলবাণীকে অস্বীকার করে সারা দেশে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা আমদানির চেষ্টা চালাচ্ছে। যা ভারতের ভিত্তিমূলকে দিন দিন দুর্বল করছে।
ড. অমর্ত্য সেন এবং ড. সুকুমারী দেবীর বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। হিন্দুত্ববাদের দ্বারা বহুজাতিক দেশ ভারতের ঐক্য যে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়, এ বিষয়ে এ দেশের প্রতিষ্ঠাতারা সচেতন ছিলেন। মহাত্দা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, মওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বড়মাপের নেতারা ভারতের মুক্তি সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভারত এমন একটি দেশ যার তিনটি রাজ্য খ্রিস্টানপ্রধান। একটি রাজ্য মুসলিম ও একটি শিখপ্রধান। জনসংখ্যার শতকরা ৮০ শতাংশ হিন্দু হলেও জাতিভেদ প্রথার শিকার সিংহভাগ মানুষ। ভারতে রয়েছে অর্ধশতের বেশি ভাষা। এদেশের প্রধান সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলমানদের সংখ্যা ১৬ কোটিরও উপরে। যা সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের লোকসংখ্যার প্রায় সমান। ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের পরে ভারতেই সর্বাধিক মুসলমানের বাস। স্বভাবতই এমন একটি দেশে হিন্দুত্ববাদ জাতীয় ঐক্যের জন্য বিপজ্জনক। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতে বারবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হলেও এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে সাম্প্রদায়িকতাবাদীরা কখনো ঠাঁই পায়নি। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের রেখে যাওয়া ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী আদর্শে পরিচালিত হয়েছে এই বিশাল দেশ। ১৯৯২ সালে বিজেপিসহ ধর্মান্ধ দলগুলোর চক্রান্তে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা ভারতের জাতীয় চেতনার মর্মমূলে আঘাত হানে। এ ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে হিন্দুত্ববাদী চেতনার উত্থান ঘটায়। এ চেতনাই বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক দলকে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করে।
অসাম্প্রদায়িক চেতনার দলগুলোর অনৈক্যের সুযোগে ১৯৯৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি জোট জয়ী হয়। বিজেপির সাড়ে চার বছরে ভারত অর্থনৈতিক দিক থেকে জোর কদমে এগিয়ে যাওয়া শুরু করে। পরের সরকারগুলো সে ধারা অব্যাহত রেখেছে। পরিসংখ্যানবিদরা বলেন, এ প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ৫০ বছর পর ভারত অর্থনৈতিক সামর্থ্যের দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করবে। এই সমৃদ্ধি সত্ত্বেও বিজেপির হিন্দুত্ববাদী নীতি ভারতের ঐক্য চেতনার বুকে যে ছুরিকাঘাত হানে দেশের সচেতন মানুষের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হয়নি। ২০০৪-এর নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় ছিল তারই প্রমাণ। ২০০৯ সালের নির্বাচনেও ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বিজেপি জোটকে প্রত্যাখ্যান করে প্রকৃতপক্ষে জাতীয় ঐক্যের পক্ষে ভোট দেন।
হিন্দুত্ববাদীদের আপাত পরাজয় সত্ত্বেও ক্ষমতাসীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের আমলে দুর্নীতির বিস্তার এবং অসাম্প্রদায়িক শক্তির অনৈক্য বিজেপিকে সামনে আসতে সাহায্য করেছে। বাবরী মসজিদ ধ্বংস এবং গুজরাটের ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মাধ্যমে তারা সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবৃক্ষ রোপণ করেছিল, তার শেকড় এখন ভারতীয় রাজনীতির মর্মমূলে আঘাত হানছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজনীতিতে বিশ্বাসী বলে যারা দাবি করেন তাদের বিভক্তির পাশাপাশি সংখ্যালঘু ভোটের বিভাজন বিজেপিকে ক্রমেই শক্তিশালী করে তুলেছে। এ দলটির পেছনে ভারতের শিল্পপতিদের অর্থানুকূল্য নির্বাচনী প্রচারণায় তাদের এগিয়ে রেখেছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি অসাম্প্রদায়িক বলে দাবিদার দলগুলোর একাংশ এখন বিজেপিসহ রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘের চেলাদের সঙ্গে আপস করে চলার চেষ্টা করছে। এ আপসের কারণে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক শক্তির লড়াইয়ের গতি স্তিমিত হয়ে পড়েছে।
ভারতের চলমান নির্বাচন ভারতের জাতীয় ঐক্যের জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। ১৯৪৭ সালের আগে হিন্দুত্ববাদীদের অনুদারতার কারণে ভারত ভাগ হয়। অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ হয়। জিন্নাহর মতো অসাম্প্রদায়িক নেতা কংগ্রেস ছেড়ে মুসলিম লীগের হাল ধরতে বাধ্য হন। ভারত যখন অর্থনৈতিক পরাশক্তি হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন হিন্দুত্ববাদের উত্থান ভারতের জাতীয় ঐক্যকে ব্যাহত করবে। হয়তো স্থিমিত হয়ে পড়বে অগ্রগতির চাকা অনেকেরই ধারণা বিজেপির উত্থানের পেছনে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী বিদেশি শক্তিগুলোর হাত আছে। চলমান নির্বাচনে প্রচারণা খাতে বিজেপির হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়তো তারই প্রমাণ।