ইউক্রেইন সঙ্কট বাড়তে থাকার মধ্যে রাশিয়ার সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্র ও নেটোর ‘নজিরবিহীন’ সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মস্কো।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু যুক্তরাষ্ট্র ও নেটোর উস্কানিমূলক মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেলের সঙ্গে ফোনে তার ঘন্টাব্যাপী আলোচনা হয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, পূর্ব ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো সামরিক তৎপরতা চালানোর পাশাপাশি রাশিয়াকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্যও রাখছে।
পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে যুক্তরাষ্ট্র পোল্যান্ড এবং বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোতে ৬শ’ সেনা পাঠিয়েছে। নেটো মিত্রদেশগুলোকে নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
সোইগু বলেন, ইউক্রেইন সীমান্তে রুশ সেনারা সামরিক মহড়া শেষ করে তাদের স্থায়ী অবস্থানে ফিরে গেছে। পেন্টাগন বলেছে, মস্কোর ইউক্রেইনে আগ্রাসন চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে আশ্বাস দিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিবকভও মঙ্গলবার একই কথার পুনরাবৃত্তি করে ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেইনে ক্রিমিয়ার মতো পট পরিবর্তনের অভিপ্রায় মস্কোর আদৌ নেই। এ নিয়ে ভর করারও কোনো কারণ নেই।
পূর্ব ইউক্রেইনের বহু শহরে এখনো সরকারি বিভিন্ন ভবন দখল করে আছে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। স্লোভিয়ানস্কে অস্ত্রধারীদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে ৭ ইউরোপীয় পর্যবেক্ষকও।
ইউক্রেইন সঙ্কটের সমাধান না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সোমবার রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর পরপরই মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা জোরদার করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। রাশিয়ার ১৫ টি নতুন টার্গেটে এবার ইইউ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।