মৃত্যু ডেকে আনল ফেসবুক!

0
132
Print Friendly, PDF & Email

ফেসবুকের স্ট্যাটাস আর পোস্ট করা ছবিটি বলছে হাসি-খুশি কোর্টনি স্যানফোর্ড আনন্দের সঙ্গেই তা পোস্ট করেছেন। কিন্তু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার মুহূর্তের মধ্যে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২ বছর বয়সী এই নারী।

ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনায়। গত বৃহস্পতিবার সকাল আটটা ৩৩ মিনিটে। এ সময় কোর্টনি তাঁর ফেসবুকে লিখছেন, ‘দ্য হ্যাপি সং মেকস মি সো হ্যাপি।’ কিন্তু আটটা ৩৪ মিনিটের সময় পুলিশের কাছে একটি সড়ক দুর্ঘটনার খবর পৌঁছে গেছে। গতকাল সোমবার দ্য ইনডিপেনডেন্টের এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোর্টনি একাই গাড়ি চালিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন। সেন্ট্রাল রিজারভেশন পার হওয়ার পর একটি ট্রাকের সঙ্গে কোর্টনির গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এবং তাতে আগুন ধরে যায়।

এই দুর্ঘটনায় মাদক, পানীয় বা অতিরিক্ত গতি—এ ধরনের কোনো কারণ খুঁজে পাননি তদন্তকারী কর্মকর্তারা। অবশ্য দুর্ঘটনা ঘটার কয়েকদিন পর কোর্টনির বন্ধুদের সৌজন্যে এই দুর্ঘটনার সঙ্গে ফেসবুকের যোগসূত্র বের হয়ে এসেছে।
কোর্টনির বন্ধুরা পুলিশকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা ঘটার ঠিক আগমুহূর্তে ফেসবুকে সক্রিয় ছিলেন কোর্টনি এবং এ সময় ফেসবুকে বেশ কয়েকটি পোস্টও দিয়েছেন তিনি।গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনের ব্যবহারে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

হাই পয়েন্ট পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র ক্রিস ওয়াইজনার জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনাকে বলা যায় বাস্তব জীবনের জন্য জনস্বার্থে একটি বিজ্ঞাপন, যাতে গাড়ি চালানোর সময় মুঠোফোনে বার্তা পাঠালে কী হয় তা দেখানো হয়েছে।

ক্রিস ওয়াইজনার আরও জানিয়েছেন, কোর্টনির সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট দেখে প্রমাণ হয়, ফেসবুকে শুধু স্ট্যাটাস আপডেট করেননি তিনি, বরং হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় নিজের ছবি (সেলফি) তুলছিলেন তিনি।

হাই পয়েন্ট পুলিশ বিভাগের ওই মুখপাত্র বলেন, শুধু কয়েকজন বন্ধুকে ফেসবুকে আমি আনন্দে আছি এটুকুু জানানোর জন্যই কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে একটি জীবন চলে গেল। এর কোনো মানেই হয় না। এটা যেমন দুঃখজনক, তেমনি এ কথা কঠোরভাবে স্মরণ রাখতে হবে, গাড়ি চালানোর সময় মনোযোগ হারানো চলবে না।

শেয়ার করুন