ভারতের কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বেফাঁস মন্তব্য করে নিজেই ফেঁসে গেছেন যোগগুরু রামদেব। যেকোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার হতে পারেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে জাতিগত বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে ভারতের তিনটি শহরে এজাহার (এফআইআর) দাখিল করা হয়েছে।
গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে রামদেব মন্তব্য করেন, রাহুল গান্ধী দলিত সম্প্রদায়ের বাড়িতে কেবল পিকনিক ও হানিমুন করতে যান। এ বক্তব্যের জের ধরে কংগ্রেসসহ বিভিন্ন মহলে তীব্র আপত্তি ওঠে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের তিনটি শহরে রামদেবের বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করা হয়। গত রোববার বিকেলে উত্তর প্রদেশের গোরাখপুর শহরে একটি এফআইআর দাখিল হয়। এর পর উত্তর প্রদেশের আরেক বিখ্যাত শহর আগ্রা এবং বিহারের পাটনা শহরে আরও দুটি এফআইআর দাখিল হয়। এর মধ্যে পাটনার এফআইআরটি দাখিল করেছেন বিহার রাজ্যের খাদ্য ও ভোক্তা সংরক্ষণমন্ত্রী শ্যাম রাজাক।ভারতের যোগগুরু রামদেবপাটনার মুখ্য বিচারিক আদালতে আজ দাখিল হওয়া এজাহারের ওপর শুনানি হওয়ার কথা।
এ ছাড়া রামদেবের বক্তব্যে সমর্থন দেওয়ায় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মুখপাত্র শাহনেওয়াজ হুসেইনের বিরুদ্ধেও আগ্রাতে একই অভিযোগে মামলা হয়েছে।
বিহারের খাদ্য ও ভোক্তা সংরক্ষণমন্ত্রী শ্যাম রাজাক বলেন, রামদেবের বক্তব্য কেবল দলিত সম্প্রদায়ের নারীদের অপমানই করেনি, তাঁদের বিনোদনের পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করেছে। তিনি বলেন, এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ‘ভণ্ড গুরুর’ সামন্তীয় মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে।
গোরাখপুর শহরে রামদেবের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করা আইনজীবী উদয়নাথ বলেন, ‘পুরো জাতি, বিশেষ করে দলিত সম্প্রদায়ের লোকজন রামদেবের বক্তব্যে ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন। এটা আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির ওপর হামলা। তিনি গ্রামীণ নারীদেরও অবমাননা করেছেন।’
এদিকে, রামদেবের ওই বক্তব্যের পর হিমাচল প্রদেশ ও আমেথিতে বিজেপির নির্বাচনি প্রচারের কাজে রামদেবের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
রাহুলকে নিয়ে রামদেবের বিস্ফোরক মন্তব্য, এজাহার
রামদেবকে থামাল ভারতের নির্বাচন কমিশন