খেলাধুলা তো এক প্রকার বিনোদনই। কিন্তু এই বিনোদনের অনুষঙ্গ অনেক সময় সৃষ্টি করে সংঘর্ষ-হানাহানি। খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে সহিংসতা কখনোই গ্রহণযোগ্য কোনো বিষয় নয়। তুরস্কের ক্লাব ফেনেরবাচে খেলাধুলা-সংক্রান্ত সহিংসতা-সংঘর্ষ থেকে পরিত্রাণ পেতে বেছে নিয়েছিল অদ্ভুত এক উপায়। তারা তাদের সর্বশেষ ম্যাচে নিষিদ্ধ করেছিল পুরুষ দর্শকদের।
পুরুষেরা গ্যালারিতে নিষিদ্ধ থাকলেও ওই ম্যাচে প্রবেশাধিকার ছিল নারী ও শিশুদের। পুরুষ দর্শকেরা গ্যালারিতে না থাকলে স্টেডিয়াম ভরবে না—এমন ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে সেদিন মাঠে ছিল প্রায় ৫০ হাজার নারী ও শিশু।
লিগ শিরোপা নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। ফলে রোববারে কেইকুর রিজেসপোরের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। ০-০ ড্র করেও শিরোপা জয়ের আনন্দ ঠেকানো যায়নি ফেনেরবাচের। ৫০ হাজার নারী ও শিশুর সঙ্গে ১৯তম লিগ শিরোপা জয়ের আনন্দ ভালোভাবেই ভাগ করে নিয়েছেন খেলোয়াড়েরা।
কথা হলো, এ ঘটনায় ফেনেরবাচের পুরুষ সমর্থকেরা কি যথাযথ শিক্ষা নেবে? সেটি জানার উপায় নেই। তবে ফেনেরবাচের এ ব্যতিক্রম সিদ্ধান্ত সত্যিই অনন্য। ওয়েবসাইট।