গাইবান্ধা জেলার নদ-নদীগুলো পানি শূন্য ॥ কৃষিতে বিপর্যয়

0
471
Print Friendly, PDF & Email

জেলার ১০টি নদীর মধ্যে ৬টি নদী এখন মৃতপ্রায়। বিশেষ করে তিস্তা-যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের বিশাল চর জেগে ওঠায় শাখাগুলোতে দেখা দিয়েছে পানি শূন্যতা। এমনকি নদীগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় এ সমস্ত নদী বেদখল হয়ে যাচ্ছে। স্বার্থান্বেষী মহলেরা জবর দখল করে বাড়ি ঘর নির্মাণ করছে। উজানে পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় এ অঞ্চলের পানি শূন্যতার কারণে পরিবেশে নেমে এসেছে বিপর্যয়। চলছে পানির হাহাকার। কৃষকরা তাদের জমিতে সেচ চাষ দিতে পারছে না। ছোট ছোট নদীগুলোতে পানি না থাকায় সেখানে মওসুমী আবাদ করে কৃষকরা পড়েছে বেকায়দায়। অনেক কৃষক শ্যালো মেশিন বসিয়ে কোনরকমে তাদের জমিতে আবাদের চেষ্টা করছে।

ডিজেল তেলের দাম বেশি হওয়ায় অনেক কৃষকও তাদের জমিতে সেচ চাষ দিতে পারছে না। ফলে জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। গাইবান্ধার প্রবীণ লোকেরা জানিয়েছেন, একসময়ের গাইবান্ধার নদী পথে ব্যবসা-বাণিজ্যে জমজমাট ছিল। সামান্য পানিতেই তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীতে লঞ্চ চলতো। অগণিত নৌকাও চলতো। সেগুলোও এখন পানির অভাবে চলছে না। শুধু তাই নয়, এই বালু চরে এখন নৌকার পরিবর্তে গরু-মহিষের গাড়ি চলছে। আর এই নদীগুলোর শাখাগুলোতে চর জেগে ওঠায় সেখানে শুরু হয়েছে মানুষের বসবাস। গড়ে উঠেছে ছোট ছোট হাট-বাজার।

এদিকে জেলার ছোট নদীগুলোর মধ্যে ঘাঘট, বাঙালি, মানাস, আলাই ও লেংগা আঞ্চলিক কেন্দ্রিক হওয়ায় এগুলো এখন মৃতপ্রায়। কোনটি ক্যানেল ও খাল হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। নেই কোন নদীর অস্তিত্ব। বিভিন্ন স্থানে এসব নদীর দুই পাড় দখল করে নিয়ে অবকাঠামো নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। এছাড়াও এসব নদীগুলো থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছে এক শ্রেণীর ব্যবসায়িরা। ফলে ওই এলাকায় মাটি ধসে পড়ছে এবং পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন।

শেয়ার করুন