মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক দেড় কোটি ছাড়ালো

0
140
Print Friendly, PDF & Email

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা নতুন মাত্রা ছুঁয়েছে। মার্চ মাস শেষে এর গ্রাহক সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র এএফএম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, মার্চ শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ ২৩ হাজার ৬০৪ জন। যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ৪ লাখ বেশি।

এর আগে হঠাৎ করেই মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনে ছন্দপতন ঘটেছিলো। তবে সার্বিকভাবে মোবাইল ব্যাংকিং জনপ্রিয়তা পাচ্ছে দেশে। বর্তমানে ২০টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং করছে। সবশেষ মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতায় এসেছে বেসরকারি খাতের আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড।

সূত্র জানিয়েছে, মার্চে ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৬২ হাজার ১৩৫টি লেনদেন হয়েছে। যা আগের মাসের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। আর লেনেদের অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। যা ফেব্রুয়ারির তুলনায় ২০ দশমিক ১২ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, হঠাৎ করে মোবাইল ফোনে লেনদেনের পরিমাণ ও সংখ্যা দুটোই কমে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্তকতার কারণে মোবাইল ফোনে লেনদেনের অর্থের পরিমাণ ও সংখ্যা দুটোই কমেছে।

সূত্র মতে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৬ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। যা জানুয়ারি থেকে প্রায় সাড়ে আট শতাংশ কম।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, ২০১০ সালে নভেম্বর মাসে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়। ২ লাখ ৫৭ হাজার এজেন্ট এর মাধ্যমে এ সব ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৩৯ লাখ মানুষ মোবাইল ফোনে তাদের ব্যাংকিং লেনদেন পরিচালনা করছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বাংলানিউজকে বুধবার বলেন, দরিদ্র ও ব্যাংকিং সেবা বহির্ভূত জনগণকে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে এবং প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ দ্রুত, সহজ ও নিরাপদে গ্রামীণ এলাকায় বসবাসরত উপকারভোগীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ২০১০ সালে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের কার্যক্রম শুরু করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছে তফসিলি ব্যাংকগুলো। যার ফলে আজ মোবাইল ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা নতুন মাত্রা ছুঁয়েছে।

সূত্র মতে, দীর্ঘদিন ধরেই তথ্য আসছিলো, মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। তারই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন করে গত বছরের শেষের দিকে নির্দেশনা জারি করে।

নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বলে, মোবাইল অ্যাকাউন্ট নেই এরকম ব্যক্তিও এজেন্ট কিংবা অন্য গ্রাহকের মোবাইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে মর্মে অভিযোগ রয়েছে, যা ঝুঁকিপূর্ণ এবং নির্দেশনার পরিপন্থী। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা সঠিকভাবে পরিপালন না হওয়ায় মোবাইল হিসাব ব্যবহার করে জালিয়াতি ও প্রতারণার ঘটনাও ঘটছে।

এ প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মোবাইলে আর্থিক সেবার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে। এর আগে ২০১১ সালে প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং নীতিমালা ঘোষণা করা হয়।

শেয়ার করুন