মির্জাপুরে পরকীয়া ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে আ’লীগ নেতা শফি খুন

0
286
Print Friendly, PDF & Email

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা এবং সোনালী ব্যাংক টাঙ্গাইল জেলা শাখা অ্যাসোসিয়েশনের (সিবিএ) সহসভাপতি কাজী শফিকুল ইসলাম শফি (৫০) পরকীয়া ও রাজনৈতিক অন্তর্দ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন বলে পুলিশ ধারণা করছে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে শফির প্রেমিকা ও পরকীয়ার কারণে তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বীণা ও তার ভাড়াটে খুনিরা শফিকে খুন করেছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছে। শফির প্রেমিকা ও বান্ধবী বীণা ও তার দুই ভাই মাসুদ (৩০) ও মামুনকে (৩২) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। হত্যার বিস্তারিত তথ্য ও পরিকল্পনা বের করতে তাদের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ম্যামল কুমার দত্ত গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছেন।
 গতকাল মির্জাপুর থানা পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন শফি। তার স্ত্রী আলেয়া বেগম গত সোমবার বিকেলে আটজনের নাম উল্লেখ করে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এ ছাড়া মামলায় আরো সাত-আটজনকে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। মামলার পর প্রধান আসামি ও শফির ঘনিষ্ঠ  বান্ধবী কুরনি গ্রামের মৃত জিন্নাহ মিয়ার মেয়ো বীণা আক্তার (২৫), তার ভাই মাসুদ (৩০) ও মামুন (৩২) এই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যা মামলায় আরো যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেনÑ বীণার আগের স্বামী তরফপুর গ্রামের আরিফ হোসেন (৩০), কুরনি গ্রামের গফুর দেওয়ানের ছেলে বাচ্চু দেওয়ান (৫০), বাচ্চু দেওয়ানের ছেলে সুমন (২৬), রুম্মান মিয়ার ছেলে আনোয়ার মিয়া আনু (৩৫) এবং বীণার চাচাতো বোন জামাই বহুরিয়া গ্রামের কাদের মিয়ার ছেলে বাবলু (৪০)।
গতকাল মঙ্গলবার কুরনি গ্রামে গিয়ে জানা গেছে,পরকীয়া ও রাজনৈতিক কারণেই শফি খুন হয়েছে। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, কুরনি গ্রামের জিন্নাহ মিয়ার বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছিল। আর এ অসামাজিক কাজের মূল হোতা হচ্ছে জিন্নাহ মিয়ার মেয়ে বীণা আক্তার।
এ দিকে বীণার আগের স্বামী এ ঘটনা জানতে পেরে শফিকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা চালিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে বীণার স্বামী আরিফ কুরনি গ্রামে আসে। পূর্ব পরিকল্পনা মতো বীণা কৌশলে মোবাইলে ফাঁদে ফেলে শফিকে ওই বাড়িতে নিয়ে যায়। গভীর রাতে বীণা, তার স্বামী আরিফ ও তাদের ভাড়াটিয়া খুনিরা মিলে শফিকে খুন করে বাড়ির পাশে জঙ্গলে ফেলে রাখে বলে শফির পরিবার অভিযোগ করে।

শেয়ার করুন