রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে রোজ (৩০) নামে রোগীর এক স্বজনকে আটক করে নিয়ে গেছে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
রোববার মধ্যরাতে তাকে আটক করা হয়। এরপর থেকে তার আর কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোজ রামেক হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আবেদ আলী আকাশের (১৭) বড়ভাই। তার বাড়ি নগরীর সাগরপাড়া এলাকায়।
এর আগে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে রোববার রাত সাড়ে দশটার দিকে আবেদ আলী আকাশের বড়ভাই রোজকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের উপর ইন্টার্নী চিকিৎসকদের হামলা ও ক্যামেরা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখেছেন ইন্টার্নী চিকিৎসকরা।
ওই ঘটনায় ১০ সাংবাদিক আহত হন। এদের মধ্যে বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান তারেক মাহমুদ রাসেল আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর অ্যাপলো হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে, রোগীর স্বজনকে আটকের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জিয়া। তিনি বলেন, রোববার রাতে ইন্টার্নী চিকিৎসকদের হাত থেকে রক্ষা করতে তাকে ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়। পরে সোমবার দুপুরের পরে তাকে হাসপাতালে সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এবিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও রামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিনের সাথে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে, দিনভর ওই রোগীর সন্ধানে হাসপাতালে গেলেও তার সাথে সাংবাদিকদের দেখা করতে দেয়া হয়নি। তবে ওই রোগী বর্তমানে হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে সোমবার রাতে একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন হাসপতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। ওই রোগী বর্তমানে সুস্থ্য আছেন বলেও দাবি করেন তিনি।