সাধারণ জনগণ এবং রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিংবা ঘটনার সত্য তুলে ধরতে প্রায়ই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে আসেন সাংবাদিকরা। পুরুষের পাশাপাশি নারী সাংবাদিকরাও একইরকম নিরাপত্তার ঝুঁকি নিচ্ছে।
রোববার সন্ধ্যায় ইউক্রেনের চলমান অচলাবস্থা এবং অস্থিতিশীলতার মধ্যে ঠিক এমনই এক ঘটনা ঘটেছে এক নারী সাংবাদিকের জীবনে। ডেইলি মেইল।
স্টেলা ডুবোভিতস্কায়া নামের এই সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়ে এখন হাসপাতালে।
তার অপরাধ ছিল, তিনি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অবরোধ এবং নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রুশপন্থী একজন রাজনৈতিক নেতাকে কেন প্রশ্ন করলেন।
গত প্রায় তিন মাস ধরে দেশটিতে চরম অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। দেশটির একটি অংশ ক্রিমিয়া রাশিয়ার সাথে এক হয়ে যাওয়ার পর ইউক্রেন আরো অস্থির হয়ে উঠেছে।
ক্রিমিয়ার পর ইউক্রেনের পূবাঞ্চেলের বেশ কয়েকটি এলাকা নিজেদেরকে স্বাধীন দাবি করে বিক্ষোভ সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে এসব বিদ্রোহীদের দমন করতে সরকারি বাহিনী অভিযান শুরু করেছে।
এমন তীব্র সংঘাতময় পরিস্থিতিতে অন্তঃসত্তা অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে স্টেলা ডুবোভিতস্কায়া এক সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করেন। সম্মেলন সাংবাদিকদের সাথে ব্যাপক বাক-বিতণ্ডা হয় রুশপন্থী জাতীয়তাবাদী নেতা ভ্লাদিমির জিরিনভস্কির।
ডুবোভিতস্কায়া সেখানে জিরিনভস্কিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অবরোধ এবং অস্থিরতা সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। এতে তিনি মারাত্মক উত্তেজিত হয়ে উঠেন।
ডুবোভিতস্কায়াকে ধমক দিয়ে তিনি বলেন, “যদি আপনি একজন গর্ভবতী নারী হন, তবে এটা আপনার জায়গা নয়।”
এক পর্যায়ে তিনি তার কয়েকজন সমর্থক কর্মীকে ডুবোভিতস্কায়াকে ধর্ষণ করতে নির্দেশ দেন।
জিরিনভস্কি বিকট শব্দ করে ওই কর্মী দুজনকে বললেন, “আমি তোমাদেরকে বলছি তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ো। এবং তাকে হিংস্র হয়ে ধর্ষণ করো।”
এ সময় সাংবাদিকরা এগিয়ে জিরিনভস্কিকে সামলাতে চেষ্টা করেন। তারা বলেন, তিনি একজন অন্তঃসত্তা। একজন সন্তানের মা। কেন আপনি তাকে আক্রমণ করছেন।”
জবাবে তাদেরকে তিনি বলেন, “তাহলে যাও তাকে চুমা দাও, তাকে আলিঙ্গন করো।”
এ সময় উপস্থিতি অন্য নারী সাংবাদিকদেরকে তিনি মারাত্মকভাবে অপমান করেন। তাদেরকে লিসবিয়ান সম্বোধন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন রুশপন্থী এই নেতা।
অবশ্য এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধের মামলার করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
