ভারতীয় জনতা পার্টির সুব্রামানিয়াম স্বামী কর্তৃক বাংলাদেশের ভূমি দাবির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠন। স্বাধীন বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ ভূখ- দাবি করে ভারতের বিজেপি নেতা যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দেশের রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট নাগরিক ও বুদ্ধিজীবীরা। গতকাল মুসলিম লীগের নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেছেন বাংলাদেশের একজন মানুষ জীবিত থাকতে তাদের এ আশা পূরণ হতে দেয়া হবে না। আর পিডিবির চেয়ারম্যান ফেরদৌস আহমেদ কোরেশি বলেছেন আমরাও অবিভক্ত বাংলার বাকি অংশ যেমন মুর্শিদাবাদ, মালদহ, ত্রিপুরা এবং আসামের অংশ ফেরত চাইবো। বাংলাদেশে মুসলিম লীগের সভাপতি অ্যাড. নুরুল হক মজুমদার ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের এক বিবৃতিতে ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের একজন মানুষ বেঁচে থাকতেও তাদের এ খায়েশ পূরণ হবে না। এ ঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো জন্য সরকারসহ সর্বমহলের প্রতি তারা আহ্বান জানান। ভারতের বিজেপির নেতার ভূখ- দাবির প্রতিক্রিয়ায় গতকাল পিডিবির চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ফেরদৌস আহমেদ কোরেশি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ভারতের নেতারা বাংলাদেশ নিয়ে এ জাতীয় উদ্ভট দাবি থেকে যেন বিরত থাকেন। তা না হলে আমরাও অবিভক্ত বাংলার বাকি অংশ যেমন মুর্শিদাবাদ, মালদহ, ত্রিপুরা এবং আসামের অংশ ফেরত চাইবো। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে অভিন্ন নদীর পানি থেকে বঞ্চিত করা ভারতের তথাকথিত ‘আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প’ বাস্তবায়নেরই অংশ। এভাবে এক নদীর অববাহিকার পানি অন্য নদীর অববাহিকায় স্থানান্তর গুরুতর প্রকৃতিবিরুদ্ধ অপরাধ। যা কেবল বাংলাদেশ নয়, সমগ্র বৈশ্বিক পরিম-লে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটাবে। তাই ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প’র বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা রুজু করা এখন যৌক্তিক, অবশ্য করণীয় ও সময়ের দাবি। ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশি বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে আলোচনা ও দর কষাকষিতে শক্তিমান ভারতের কাছে বার বার হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দুর্বল ও পরজীবী কূটনীতির কারণে ভারত সব সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে। এ বিষয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান মনে করেন, দিল্লীর প্রতি আনুগত্যশীল একটি সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্যই বাংলাদেশেকে নিয়ে ভারতীয় ব্রাহ্মণ্যবাদীরা এরকম দাবি করতে পারছে। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের আধিপত্যবাদীদের খায়েশ পূরণ হবে না। ভারতীয় জনগণ যদি সুব্রামানিয়ামদের মতো নেতাদের উগ্র দাবিকে প্রশ্রয় দেয় তাহলে বাংলাদেশের মানুষও অবিভক্ত বাংলার দাবিতে সোচ্চার হতে পারে।