নোয়াখালী সদর উপজেলার কালীতারা বাজারের খুচরা জ্বালানী তৈল ব্যাবসায়ী আরিফ হোসেন (২৮) নিখোঁজ হওয়ার ১২ঘন্টা পর আজ সল্লাঘটিয়া গ্রামের আশিকুর রহমান পিয়াসদের বসত ঘরের পাশ থেকে মাটিচাপা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেছে সুধারাম থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় আশিকুর রহমান পিয়াস, সুমন , নুর নাহার, নুর জাহান ও তমাকে আটক করা হয়েছে। নিহত আরিফ হোসেন সল্লাঘটিয়া গ্রামের আবুল খায়ের এর ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ এস,এম,আশরাফুজ্জামান ও সুধারাম থানার ওসি (তদন্ত) নিযাম উদ্দিন জানান, গতকাল সকালে তৈল ব্যাবসায়ী আরিফ বাকি টাকা সংগ্রহের জন্য বের হলে তার পূর্ব পরিচিত ইউনিয়নের সল্লা ঘটিয়া গ্রামের আশিকুর রহমান পিয়াস, সবুজ ও সুমন মোবাইল ফোনে আরিফকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে বসত ঘরে নিয়ে শ্বাসরুদ্ধ ও মাথায় আঘাত করে হত্যা করে বসত ঘরের পিছনে মাটি চাপা দিয়ে রাখে।
এ সময় তাদের সাথে নুর নাহার (২৪), তমা (২২) ও নুর জাহান ( ৪৫) হত্যাকান্ডে সহায়তা করে । হত্যাকান্ডের পর নগদ অর্থ ও আরিফের ব্যাবহূত মটর সাইকেল আত্মসাত করে হত্যাকারীরা।
বিকেলে পিয়াস ও সুমন আরিফের মটর সাইকেল নিয়ে পার্শ্ববর্তি উত্তর ওয়াপদা বাজারে বৈশাখী মেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে এক মেয়েকে ইভটিজিং করলে এলাবাসী ধরে তাদেরকে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ দিকে আরিফকে না পেয়ে তার বাবা রাতে আবুল খায়ের সুধারাম থানায় জিডি করতে আসলে থানার সামনে ছেলের মটর সাইকেল দেখে পুলিশ জানায়। পুলিশ আটক সুমন ও পিয়াসকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পিয়াসদের বসতঘরের পাশে মাটিচাপা অবস্থায় আজ আরিফের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তিন নারীকে আটক করে।
এ দিকে দুপুরে বিক্ষুদ্ধ জনতা আটককৃত আশিকুর রহমান পিয়াসের বাড়িতে আগুন দেয়।