পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরু বীরবিক্রম বলেছেন, আগামী ৩০ মে’র মধ্যে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৭৪ কোটি ব্যয়ে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাধ রক্ষায় কঠিন শিলা নিক্ষেপের কাজ শেষ হওয়ার কথা। এ সময়ের পর নদীর পানি বেড়ে যাবে এবং নদীর সার্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে। তাই ঠিকাদার যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারে তাহলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংস্কার কাজ বন্ধ থাকবে। কোনক্রমেই যা তা সংস্কার কাজ করতে দেয়া হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসাবে সিরাজগঞ্জকে রক্ষায় সংস্কার কাজ চলছে। এক্ষেত্রে কোন গড়িমসি বরদাশত করা হবে না। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাধের সংস্কার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ড পশ্চিম রিজিওনের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক আফজাল হোসেন, ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের (ডিজাইন) প্রধান প্রকৌশলী যোতিদাস কুণ্ডু, একই প্রকল্পের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, বিশ্ব ব্যাংকের ডেপুটি টিম লিডার আসাদুজ্জামান খান, ট্রাক্সফোর্স প্রধান তোফায়েল আহমেদ, পাউবো রাজশাহী অঞ্চলের প্রধান আব্দুর রউফ মিয়া, বগুড়া তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মমতাজ উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, টাস্কফোর্সের কর্মকর্তারা এ প্রকল্পটি মনিটরিং করছে। অথচ ঠিকাদারের লোকেরা একাধিকবার টাক্সফোর্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অসদাচরণ করেছে। এটা কোনক্রমেই মেনে নেয়া হবে না। এসময় বিষয়টির তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী। প্রকল্পের নির্দিষ্ট ব্যয়ের অতিরিক্ত হিসাবে ঠিকাদার আরও ২৫ কোটি টাকা বেশি বিলের দাবী করছে ঠিকাদার, এমন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কাগজে-কলমে না থাকলে ঠিকাদার নির্দিষ্ট ব্যয়ের অতিরিক্ত টাকা পাবে না। এর আগে প্রতিমন্ত্রী যমুনা নদীতে চলমান পাইলট ড্রেজিং এলাকা পরিদর্শন করেন।